ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
জুলহস উদ্দীন, তেতুলিয়া উপেজলা প্রতিনিধিঃ তেতুলিয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হতে প্রায় ২শ কিলোমিটার দূরে চীন। চীনের প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটান হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পথ এই স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। সম্প্রতি চীনে আঘাতহানা মহামারী করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িছে ৪২৬ জনে। আক্রান্ত হাজার হাজার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে, চীনের উহান থেকে ফেরা নেপালের শিক্ষার্থী দেশে ফেরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। আতঙ্ক বিরাজ করছে বাংলাদেশেও। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশের স্থলবন্দরের ন্যায় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বসানো হয়েছে মেডিকেল টিম। কিন্তু এখনো তাদের কাছে পৌছেনি থার্মাল স্ক্যানার। শুধু প্রাথমিকভাবে পাসপোর্ট যাত্রীদের শুধু মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের। স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকায় উদ্বিগ্ন যাত্রীরা। চীনের মহামারি আকার ধারণ করা নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও শনাক্তকরণের লক্ষে গত ২৮ জানুয়ারী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের একটি কক্ষে মেডিকেল টিমের এ কার্যক্রম চালু করে। তবে মেডিকেল ক্যাম্পে যন্ত্র বা শনাক্তকরণ মেশিন না থাকায় মাত্র একজন সরকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এ মেডিকেল ক্যাম্পের কার্যক্রম। ইমিগ্রেশন দিয়ে আসা যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, সর্দি, কাশি, হাচি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা হচ্ছে কি না’ শুধু তাই জিজ্ঞাসাবাদে চলছে করোনা ভাইরাস নির্ণয়। এরকম একটি স্পর্শকাতর মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোন যন্ত্রপাতি না থাকায় চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ইমিগ্রেশন ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট যাত্রীরা। পাসপোর্টধারী কয়েকজন যাত্রী জানান, দেশের অন্যতম স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বাংলাবান্ধা। এ বন্দর দিয়ে চারদেশে চলাচল চলছে। অথচ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেই কোনো যন্ত্রপাতি। দ্রুত থার্মাল স্ক্যানার বসানোর দাবি জানান তারা। মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মেডিকেল ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, কোন যন্ত্রপাতি নেই, পাসপোর্ট যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, সর্দি, কাশি, হাচি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা হচ্ছে কি না’ শুধু মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদ করেই সেরে দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দু’জন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে কথা বললে, তারা জানান আমাদের থার্মাল স্ক্যানার মেশিন দেয়া হয়নি। তাই স্বাস্থ্যবিভাগ হতে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে সেভাবেই দায়িত্ব পালন করছি। তবে গত একমাসে প্রায় ১৫ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করলেও এ ইমিগ্রেশন দিয়ে কোনো চীনা নাগরিক যাতায়াত করেননি বলে জানিয়েছেন বন্দরটির ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ মো.মকছেদ আলী। তেঁতুলিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ) মুহাইমিনুল ফেরদৌস জানান, আমাদের এ মেডিক্যাল ক্যাম্পে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে কোনো যন্ত্রপাতি নেই। থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST