ফুলবাড়ীতে দম ফেলার ফুরসত নেই কৃষাণ-কৃষাণীদের দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ধুম পড়ে গেছে ইরিবোরো চাষের

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০

ফুলবাড়ীতে দম ফেলার ফুরসত নেই কৃষাণ-কৃষাণীদের দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ধুম পড়ে গেছে ইরিবোরো চাষের
মেহেদী হাসান উজ্জল ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি:  শীতকে উপেক্ষা করে কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো চারা রোপণ নিয়ে সময় কাটছে কৃষক-কৃষাণীদের। চলতি বোরো চাষ মৌসুমে উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ইরিবোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক-কৃষাণীদের মধ্যে কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলছেন, আবার কেউ চারা রোপণ করছেন। শীত বেশী থাকায় আবার অনেকে একটু অপেক্ষা করছেন। সকালে সূর্য দেখা মেলার সাথে সাথেই ঝাঁকে ঝাঁকে চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। শীতের শুরুতে আগাম তৈরি বীজতলা থেকে কৃষকরা চারা রোপণের কাজ শুরু করেছেন। অনেকেই জমি প্রস্তুত করার জন্য জমিতে সেচ ও হাল চাষের কাজেও ব্যস্ত সময় পারছেন। এদিকে চাষিরা যেন সঠিকভাবে ফসল চাষ আবাদ ও পরিচর্যা করতে পারে সেদিক লক্ষ্য রেখে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা মাঠে গিয়ে সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন। খয়েরবাড়ী গ্রামের কৃষক শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘জমি প্রস্তুত হয়েছে। চারা উত্তোলন শেষ হলেই জমিতে রোপণ কাজ শুরু করবেন। ফসল ভালো হলে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারবো, তাই যতœসহকারে জমি তৈরি করেছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এটিএম হামীম আশরাফ বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার পৌর এলাকাসহ ৭টি ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফসী ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ২৯, ব্রি-ধান ৫০, ব্রি-ধান ৭৪, ব্রি-ধান ৮১। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে উফসী জাতের ধান ৫৭ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো চারা রোপণ সম্পন্ন করে ফেলেছেন চাষীরা। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অল্প সময়ে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ করছেন, তাই সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই ৮০ থেকে ৯০ভাগ বোরো চারা রোপণ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের পাশে রয়েছেন কৃষি বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তারা।

alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest