আল-কারিয়া চৌধুরী পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ শুধু নামেই যেন শিক্ষা ক্লাব, অন্তরালে চলে রমরমা সুদের ব্যবসা। সুদের টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করলে ক্লাব আটক করে নির্যাত করে। প্রতিনিয়ত এমন অভিযোগ উঠছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া সীমান্ত শিক্ষা ক্লাবের বিরুদ্ধে। আর কর্তৃপক্ষ বলছে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এঘটনা জানতে পারলাম। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া সীমান্ত শিক্ষা ক্লাব থেকে একই এলাকার আবু কালাম নামে এক ফেরিওয়ালা প্রতি মাসে হাজারে এক’শ টাকা সুদে ৭ হাজার টাকা লোন নেয়। ৯ মাস পর সুদের ২ হাজার টাকা ও লোনের ৭ হাজার টাকা সমিতির সদস্য কামরুজ্জামানের নিকট ফেরৎ দিয়ে ক্লাবের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ করে বাড়তি সুদের টাকা দিতে অপারগতা জানায়। এতে নারাজ হয়ে সুদে-আসলে ৩০ হাজার টাকা ফেরৎ দিতে হবে মর্মে গত ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কড়িয়া বাজারে ক্লাবের সদস্য একরামুল, আবু তালহা ও ফারাজুল কালামকে মারপিট করে ভুক্তভুগীর ভ্যানগাড়ী ছিনিয়ে নেয়। এলাকার একাধিক ব্যাক্তি সাংবাদিকের নিকট অভিযোগ করেন, ক্লাবের আড়ালে তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অতিরিক্ত সুদের মাধ্যমে দাদন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন, সুদের টাকা যারাই ফেরৎ দিতে পারে না তাদের ধরে এনে আটকে রেখে মারধর করে ও টাকা আদায় করে ক্লাবের ডিজে বাহিনী। এ বিষয়ে ক্লাবের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্করের নিকট জানতে চাইলে তিঁনি বলেন, আমি শুধু ক্লাবের সভাপতি লোন দেয়ানেয়া ব্যপারে কিছুই জানিনা। তাহলে ছিনতাই করা ভ্যানটি আপনার বাড়িতে কেন এমন প্রশ্নে তিঁনি বলেন, আমার দুই ছেলেও যে ওই ক্লাবের সদস্য। ক্লাব থেকে যে লোন দেওয়া হয় সমাজসেবা অফিস থেকে নিবন্ধন প্রাপ্ত কি না? তার বৈধ কোন কাগজ-পত্র দেখাতে পারেননি। এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ক্লাবের সদস্যকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা হুমকী প্রদর্শন করে বলেন, লোন গ্রহীতা কালামের মার হয়নি আরো হবে। তবে অভিযোগ পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া ভ্যান উদ্ধার করে ভুক্তভোগী কালামকে বুঝিয়ে দেয়। নিবন্ধন ছাড়াই কিভাবে ক্লাবের আড়ালে সুদের ব্যবসা করছে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. সেলিম রেজার নিকট জানতে চাইলে তিঁনি বলেন, বিষয়টা আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। তিঁনি আরো বলেন, আজকেই ওই ক্লাবের সভাপতি/সম্পাদককে চিঠি দিয়ে জানতে চাইব কিসের উপর ভিত্তি করে তারা অবৈধ সুদের ব্যবসা করছে।