জলঢাকা উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

প্রকাশিত: ১:৩০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২০

জলঢাকা উপজেলা আ’লীগের  উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

হারুন অর রশিদ(রিয়াদ) জলঢাকা(নিলফামারী) প্রতিনিধিঃ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন ও আলোচনা করেছে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামীলীগ। শনিবার বিকালে স্থানীয় পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক হাছানুর রহমান চৌধুরী(রাজিব)-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনচার আলী (মিন্টু),উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শহিদ হোসেন (রুবেল), উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এহসানুল হক (চানু), উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহসীন আলী সহ উপজেলা পর্যায়ে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীগন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ ও চাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। সুদীর্ঘকালের আপসহীন আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে জাতির অবিসংবাদিত মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্র্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো “ডকুমেন্টারী হেরিটেজ” (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest