ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২০
জুলহাস উদ্দীন, তেতুলিয়া প্রতিনিধি : তেঁতুলিয়ায় বাংলাবান্দার চেয়ারম্যান সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাবান্দা চেয়ারম্যান সহ ভুক্তভোগীরা। সোমবার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন। সংবাদ সম্মেলনে বাকি আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন লিখিত বক্তব্যে বলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর বালুবাড়ী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হামিদ ঝারুয়াপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তারের নিকট আটাশি দাগে জমি ভাড়া নেন পাথরের ব্যবসা করার জন্য। কিন্তু উক্ত জমির প্রকৃত মালিক বগুড়ার মইনুল হক সুলতান , রেজাউল বারী, হাসিব চৌধুরি, ইমতিয়াজ ও আমিনুর রশিদ। ঝারুয়াপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তার ও তসির উদ্দিনের নিকট থেকে ১৯৯৭ সালের ২৮জানুয়ারী ৩১৮নং দলিল মূলে মালিক হন। ক্রেতাগন আব্দুস সাত্তার ও তসির উদ্দিন গ্রহিতাগনকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পূর্বেই দলিলের সম্পত্তি চিহ্নিত করে বিক্রিত জমি বুঝিয়ে দেন। আব্দুস সাত্তারকে ক্রয়কৃত জমি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিলে আব্দুস সাত্তার দীর্ঘদিন ধরে ঐ জমি চাষাবাদ করে আসছে । এক বছর আগে আব্দুস সাত্তার আব্দুল আব্দুল হামিদকে ৪০ শতক জমি ব্যবসা করার জন্য ভাড়া দেন ।আব্দুল হামিদ কৌশলে আব্দুস সাত্তারকে বিভিন্ন লোভ-লালসা দিয়ে ৪০ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়ে মইনুল হক সুলতান গং এর ক্রয়কৃত জমিতে ঘর উত্তোলন করে। আব্দুল হামিদ ক্রেতা আব্দুস সাত্তারকে কুপরামর্শ দিয়ে বলেন ময়নাল হক সুলতানের বাড়ি বগুড়ায়। যদি তারা জমি দখল করতে আসে তাহলে তাহলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করব । আব্দুস সাত্তার আব্দুল হামিদের কথা বিশ্বাস করে ৪০ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে মইনুল মইনুল হক সুলতান গং জমিতে ঘর উত্তোলনের সম্মতি দেয়। পরবর্তীতে মইনুল হক সুলতান গং বিষয়টি জানার পরে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট সকল কাগজপত্র নিয়ে আসে। বাংলাবান্দার চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদকে জিজ্ঞেস করলে সে স্বীকার করে বলে আমি আগে জানিনা যে মইনুল হক সুলতান গং এই জমিটি আগেই ক্রয় করেছেন। আব্দুল হামিদ মইনুল হক সুলতান গং এর নিকট জমি ক্রয় করার প্রস্তাব দিলে মইনুল হক সুলতান গং প্রত্যাখান করে। পরবর্তীতে মঈনুল হক সুলতান গং ২০১৯ সালের ৫ফেব্রুয়ারি সাইদুল ইসলাম, আজিজার রহমান ও তহিদুল হকের নিকট বাইনামা রেজিষ্ট্রি করে দেন। পরবর্তীতে দাতাগন ২০১৯ সালের ২৪সেপ্টেম্বর ২৬৩৮ নং দলিল মুলে গৃহীতাগনকে সাব-রেজিষ্ট্রি করে দেন। যার কারণে আজিজার রহমান, তহিদুল হক ও সাইদুল ইসলাম উক্ত জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হন। মালিক হওয়া সত্তেও অবৈধ দখলদার আব্দুল হামিদ রেজিষ্ট্রিকৃত জমি গৃহীতাগণের বরাবরে ছেড়ে দিতে টালবাহানা করে এবং একের পর এক মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে এক বছরের মধ্যে ১২টি আমাদের নামে মামলা করেছে। দুটি মামলা পুলিশ তদন্ত করে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। আদালতেও তারা নারাজী দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। তারা কোন মামলা থানায় করেননি। সবগুলো মামলাই তারা আদালতে করেছেন। সব মামলাতেই একই আসামি। তারা আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। আরো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করবেন। কিন্তু ঘটনার সময় আমরা এলাকায় ছিলাম না। অথচ আমাদেরকে মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য এবং আমাদেরকে মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST