হারুন অর রশিদ(রিয়াদ) জলঢাকা প্রতিনিধিঃ জলঢাকার স্থানীয় মানুষকে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে রক্ষার স্বার্থে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক ঝাক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জলঢাকা সরকারি কলেজের একটি ল্যাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়। হ্যান্ড স্যানিটাজার তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কর্তৃক অনুমোদিত আইসোপ্রোপানল (Isopropanol), গ্লিসারিন (Glycerol), হাইড্রোজেন-পারক্সাইড (Hydrogen-peroxide),ডিসটিস্ট ওয়াটার(Distrits water),এসেন্সিয়াল ওয়েল(Asiencial oill) হাবিপ্রবির কৃষি বিভাগের ছাত্র সাজিদুর রহমান সৈকতের নেতৃত্বে ১২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী হাবিপ্রবি কৃষি বিভাগের সিফাত রেজা শুভ, হাবিপ্রবির ভেটেরিনারি বিভাগের আব্দুর রাজ্জাক, হাবিপ্রবির শিখা আক্তার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিতাই চন্দ্র, আইইউবিএটির রকি সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এসময় হাবিপ্রবির সাজিদুর রহমান সৈকত আলোকিত সময় ডট কমকে বলেন, ” পুরো বিশ্ব এই মুহূর্তে স্থবির হয়ে পরেছে ।আমাদের বাংলাদেশেও এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের সকলের উচিত করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতন থাকা। একমাত্র সচেতনতাই পারে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে। আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে প্রাথমিক ভাবে ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাজার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছি। বর্তমানে আইসোপ্রোপানলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তবে কোনো ব্যক্তি কিংবা সংগঠন যদি এই রাসায়নিক দ্রবটি সংগ্রহ করে দিতে পারে এবং আমাদেরকে অর্থিক দিক দিয়ে একটু সহযোগিতা করে তবে আমরা আরো হ্যান্ড স্যানিটাজার তৈরি করে দিতে পারবো “। উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে চলমান এই কার্যক্রমে জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী (কমেট) এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং অর্থিক দিক দিয়ে এগিয়ে আসেন। পরে নিলফামারী ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা তাদের এ কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করেন এবং আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন। জানা গেছে প্রতিটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বর্তমান বাজার মুল্য হতে পারে প্রায় ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। হ্যান্ড স্যানিটাইজার গুলি তৈরির পর জনস্বার্থে বিতরণ করার কথা রয়েছে এমনটাই বলেছেন উদ্যোক্তাগন।