প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জলঢাকার বাজারগুলোতে উপচে পড়া ভীড়

প্রকাশিত: ১:২৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২০

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জলঢাকার বাজারগুলোতে উপচে পড়া ভীড়
হারুন অর রশিদ (রিয়াদ) জলঢাকা ,নিলফামারী প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের আতংকে গোটা বিশ্বসহ বাংলাদেশও প্রায় লকডাউন লক্ষ করা যাচ্ছে। লোক সমাগম না হওয়ার জন্য সরকারের তরফ হতে বারবার সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। এরমধ্যে নিলফামারীর জলঢাকা উপজেলার জনগন সরকারকে রীতিমত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালাচ্ছে তাদের যাবতীয় দৈনন্দিন কার্যক্রম। খোলা রেখেছে বিপণী বিতানসহ অন্যান্য দোকানগুলি। লকডাউনের মধ্যেও দোকানপাট খোলা রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং রীতিমতো জনসমাগম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাজারের আনাচে কানাচে। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও দেশকে সম্মুখ বিপদের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে যা থেকে পরিত্রান নেই এই উপজেলার সাধারণ মানুষের। এক একটি বাজারে শত শত লোকের সমাগম হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে এদের আগমন ঘটেছে। তাই মরনঘাতি করোনা ভাইরাসে একজন আক্রান্ত হলে উক্ত উপজেলার দুশ্চিন্তার কারন হতে পারে। সেদিক বিবেচনা করে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে জলঢাকা থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত নানা ধরনের পরামর্শ ও দুস্থদের সহযোগিতা করতে ও সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে যথাযথ বাস্তবায়ন করতে সদা তৎপর কিন্তু এসব যেন গায়ে লাগছেনা বাজারমুখি মানুষের। বুধবার সকালে উপজেলার কয়েকটি বাজার জলঢাকা বাজারসহ মিরগন্জ বাজার, কৈমারী বাজার, নেকবক্ত বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দোকান মালিকগন সকল ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। কারো মুখে মাস্কতো দুরের কথা করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কেও যেনো তারা একেবারেই অজ্ঞ। সবাই হাসি-গল্প -তামাশা করে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও দেশের সরকার করোনা হতে প্রতিরোধের জন্য কি করছে তা যেনো তারা জানেই না। উপজেলার এমন দৃশ্য সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান মালিক ও শ্রমিকরা সটকে পরার চেষ্টা করে। পরে তাদের নিকট হতে জানা যায়, মালিক তাদের ছুটি না দিয়ে কাজ করাচ্ছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে করোনার ভয়াবহতা থেকে মুক্তি মিলবেনা অত্র উপজেলার মানুষের।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest