লোটাস আহম্মেদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:- মহামারী করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমন ঠেকাতে বিভিন্ন জেলা লক ডাউন করেছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে বৃহত্তম দিনাজপুর জেলায় এ ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে পাশ্ববতর্ী অধিক ঝুঁকিপূর্ণ গাইবান্ধা জেলার সংযোগ সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ গাইবান্ধা জেলার দুটি উপজেলার সংযোগ রয়েছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মাধ্যমে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার করতোয়া ব্রীজে যানবাহনে তল্লাশী সহ প্রতিটি ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। যথাযথ যুক্তি ও কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারলে ব্রীজের ঐপার থেকে আসা লোকজনকে এই পাড়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। এই চেকপোষ্টের একপাশে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার করতোয়া পাড়া এবং অপর পাশে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার পাঁচপীর। দিনাজপুরের সাথে গাইবান্ধা জেলার যোগাযোগের একমাত্র প্রধান রুট এই সীমান্ত। অপরদিকে একই চিত্র ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার সাহেবগঞ্জে। সেখানেও দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া বাকি সব গাড়ি ফেরত পাঠাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। এই চেকপোষ্টের একপাশে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাসিরাবাদ এবং অপরপাশে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার সাহেবগঞ্জ (মাজারপাড়া)। রাজধানী থেকে দিনাজপুরে প্রবেশের একমাত্র মহাসড়ক এটি। ঘোড়াঘাট উপজেলা আনসার-ভিডিপি কমান্ডার মোক্তার হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে থানা পুলিশের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা। জেলা সীমান্তে নিয়মিত পাহাড়া সহ উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও স্থানীয় লোকজনদেরকে ঘরমুখী করতে তারা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আনসার-ভিডিপি সদস্যরা ভ্রাম্যমান অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগীতা করছে। ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম বলেন, দেশের করোনা ঝুঁকিপূর্ণ জেলা গুলোর তালিকায় নাম রয়েছে আমাদের পাশ্ববতর্ী গাইবান্ধা জেলার। সেই সাথে লক ডাউনে রয়েছে গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলা। গাইবান্ধা জেলার চরে বসবাস করা অনেক ব্যাক্তি চর থেকে উঠে এসে ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি করে বসবাস করছে। এসব কথা মাথায় রেখে করোনার ঝুঁকি ঠেকাতে আমরা আমাদের জেলা সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। অধিক প্রয়োজন ছাড়া কোন ব্যাক্তি ও যানবাহনকে প্রবেশ এবং বহিঃগমন করতে দেওয়া হচ্ছে না।