লক ডাউনের কোন প্রভাব নেই বেনাপোলেঃ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে লোকজন

প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

লক ডাউনের কোন প্রভাব নেই বেনাপোলেঃ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে লোকজন

এসএম স্বপন বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বেনাপোলে লকডাউনের প্রথম দিন শেষ। কিন্তু তেমন কোন কার্যকর হয়নি। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে লোকজন বেনাপোল বাজার সহ আশপাশের এলাকায়। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ বেনাপোল বাজার এলাকায় কয়েকবার চক্কর মারলেও, তা যেন জনসাধারণের মনে কোন দাগই কাটতে পারেনি। যে যার মতো করে, জনসমাগম ঘটিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেন লক ডাউনের ভাষায় তারা বোঝে না। ঘুরে বেড়ানোটায় তাদের কাছে মুখ্য বিষয়। বাজারের অনেকেই বলছেন, তারা সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটি’র সঙ্গে ‘লক ডাউন’ এর পার্থক্য খুঁজে পাননি। তাদের মতামত লকডাউন তেমন কার্যকর হয়নি। সরেজমিনে সকালে বেনাপোল বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আমেজ ঘটিয়ে লোকজন বাজারে কেনাকাটা করছে ও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের সবাই যে জরুরি কাজে বেরিয়েছেন, তেমনটি নয়। এসময় কয়েকজনের কাছে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যান। বাজারের কাঁচাবাজারগুলোতেও যত মানুষ দেখা যায়, তাকে কোনোভাবেই কম বলা যাবে না। লকডাউন ঘোষণার কারণে বাজারে মানুষের আনাগোনা তেমন কমেছে বলে দৃশ্যমান হয়নি।

লক ডাউনের কোন চিন্তা চেতনা তাদের মধ্যে নেই। নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আপন মনে কেনাকাটা করছে। করোনা কি সেটা যেন তাদের জানা নেই। আর করোনার প্রভাবে ভয়ংকর কিছু যে ঘটে যেতে পারে, সে ভাবনা তাদের মনে একটুও দাগ কাটেনি। পুলিশ পিকাপ বাজারময় টহল দিলেও, জনসাধারণের মাঝে কোন হেলদোল লক্ষ্য করা যায়নি। তবে অন্যদিনের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও আজ একটু বেশি তৎপর দেখা গেছে।

অপরদিকে, বাজারব্যাপী উপজেলা প্রশাসন ও বাজার কমিটির পক্ষ থেকে গণসচেতনতা মাইকিং করতে দেখা গেছে। বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সাঃ সম্পাদক আলহাজ্ব বজলুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে সমগ্র যশোর ব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায়, গতকাল রবিবার ২৬ এপ্রিল যশোর জেলা প্রশাসকের পক্ষে সার্কিট হাউজে করোনা বিষয়ক এক জরুরি সভায় যশোর জেলাকে আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লক ডাউন ঘোষণা করা হয়। সেই মর্মে বেনাপোল বাজার কমিটিকে পরিপত্র জারি করলে, বাজার কমিটি একটা সীদ্ধান্ত নেয়। এবং সেই সীদ্ধান্ত মোতাবেক বেনাপোল পৌরসভা সহ আশেপাশের গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। বিশেষ জরুরী কাজ ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হবে না এবং অন্য জেলা থেকে বা আশেপাশের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামেও যাতে প্রবেশ না করে তার জন্য প্রচারনা চালানো হচ্ছে। তবে জরুরী পরিসেবার মধ্যে চিকিৎসা সেবা, খাদ্য সরবারাহ, বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবস্থা চালু থাকবে।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest