ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২০
হারুন অর রশিদ(রিয়াদ) জলঢাকা(নিলফামারী) প্রতিনিধিঃ বগুড়া শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁ হাড়ানো নিলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার
মনিউরের শুধু প্রতিশ্রুতিই মিলেছে কিন্তু সাহায্য জোটেনি। নানি এবং মা দুজনেই বিধবা। নিজস্ব কোন জমি নেই অন্যের জমিতে ছোট একটি ঘড়। এতেই তাদের বসবাস। তার মুখের দিকে চেয়ে ছিলো তিনটা বিধবা মহিলা তার মা, দাদি ও নানি।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যার ওপর ভরসা করে তিনটা জীবন নির্ভর করতো সেই মনিউর নিজেই বিছানায় শুয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সবেমাত্র এসএসসি পরীক্ষা শেষকরে দারিদ্র্যের কষাঘাতে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে অর্থ উপার্জনের জন্য ঢাকায়(মেঘনায় রড এর) কাজ করতে যায়। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে বাড়ি ফেরার জন্য রংপুরগামী একটি লবণ বোঝাই ট্রাকে করে ১৭জন মিলে উঠে।
২৫/০৩/২০২০ পথিমধ্যে সকাল ১১: ৪৫ হমিনিটে বগুড়া শেরপুর হোঘাবটতলা নামক স্থানে বাস ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে উপজেলার মাইজালীপাড়ার সোহেল রানা (বাবু) মারা যায় এবং মনিউর রহমানের বাঁ পা হাঁটু থেকে আলাদা হয়ে যায়। ঐ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে বগুড়া শেরপুর জিয়া হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং পরে সেখান থেকে ছারপত্র নিয়ে রংপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়।
তাৎক্ষণিক একটি ছোট অপারেশনের প্রয়োজন হলে গ্রামের স্থানীয় কিছু যুবক এবং স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “জীবনতরী পাঠশালা”র সদস্যরা মিলে গ্রামে গ্রামে অর্থ সংগ্রহ করে পায়ের অপারেশন করিয়েছে। এখনো তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
এক সাক্ষাৎকারে মনিউরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু সহযোগিতা দেননি। চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা হাত বাড়াতে এগিয়ে আসেননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগনও।এখন এই করোনা পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে খুব বিপদে রয়েছি। অনেক সময় না খেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি সুস্থ হয়ে আবার লেখাপড়া করতে চাই, পরিবারের সকলের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। চলার জন্য প্রয়োজনী উপকরণ বা কৃত্রিম একটি পায়ের ব্যবস্থা যদি কেউ করে দিতো তাহলে আমি খুবই উপকৃত হতাম।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST