ফকিরহাটে বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, নেই কোন জনসচেতনতা

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২০

ফকিরহাটে বেড়েই চলেছে  করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, নেই কোন  জনসচেতনতা

মোঃ সাগর মল্লিক
বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের ফকিরহাটে দিন দিন বেড়েই চলছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা
বাড়লেও জনসাধারণের মাঝে নেই কোন সচেতনতা। উপজেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা
(৮ জুলাই অবদি) ৭৪ জনে দাড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন ২ জন ও উপসর্গ
নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আরো একজন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৫ জন।
আর এই সংখ্যা জেলার অন্যান্য উপজেলার থেকে অনেক বেশিই। প্রশাসনের লোক দেখলেই বাড়ে
সচেতনতা, পকেটের মাক্স ওঠে মুখে। উপজেলা প্রশাসনের প্রচারণা ও কঠোর নজরদারি থাকলেও
মানছেনা কেউ স্বাস্থ্যবিধি। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এই সমস্যা বেশিই দেখা
দেখা গেছে। তাছাড়া উপজেলার সবথেকে বড় পান বাজার পিলজংগ ইউনিয়নের টাউন নওয়াপাড়া
এলাকায়। আর এই পান বাজারের অবস্থা দেখে মাথা ঘুরিয়ে যাবার মতই। করোনাকালে প্রশাসনের
নিষেধ অমান্য করে শতশত লোকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে থাকে এই পানের বাজার। স্বাস্থ্যবিধির
কোন বালাই নেই। গায়ে গায়ে মিশে ক্র‍য় বিক্র‍য় হচ্ছে পান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ
আসে পান ক্রয়-বিক্রয় করতে।
বহিরাগত এলাকার মানুষের পদচারণা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কায় করছেনা কেউ। পান
বিক্রয় করতে আসা ফরিদ শেখ, মারুফ ঢালী ও ফিরোজ শেখ বলেন, পান বিক্রি করতে না পারলে পেটে
ভাত যাবেনা। জানি রিক্স তবুও কিছু করার নেই। তবে যদি হাট কর্তৃপক্ষ বড় কোন স্থানে হাট
স্থানান্তর করে তবে সুবিধা হবে। পান বাজারের ইজারাদার শেখ মোশারফ হোসেনের
০১৯২২১৪৪৬১৭ নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। জনসাধারণের এমন
অসেচনতায় উদ্ভিগ্ন সচেতন মহল। আর সচেতন মহলের দাবী ফকিরহাট উপজেলার উপর থেকেই
মহাসড়কে যাতায়াত করে শত শত যানবাহন। যা খুলনা থেকে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর,
ভাঙ্গা,মাওয়া,ঢাকা,বরিশাল,পটুয়াখালী, ভোলা যাতায়াত সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত
করে। যার ফলে বিভিন্ন জেলার মানুষ অনায়াসেই যেকোন অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারছে। প্রশাসনের
নজরদারি আছে তবে মানছেনা কেউ স্বাস্থ্যবিধি। যার যার খেয়াল খুশি মতই চলাফেরা করছে। যার
কারণেই এই উপজেলায় এত মানুষ করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করেছে।
এব্যাপারে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অসীম কুমার সমাদ্দারের
সাথে কথা হলে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে হলে নিজ উদ্দোগে সচেতন হতে
হবে। এই ভাইরাসের পরিণতি সম্পর্কে সকলের জানা। তাই সকলের উচিৎ ব্যাক্তি সচেতনা বৃদ্ধি
করা। তানাহলে করোনা ভাইরাস আরো মহামারী রুপ ধারণ করবে ।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহানাজ পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি
বলেন, আমরা ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ধরণের ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলেছি এবং সহমতের
ভিত্তিতে ফকিরহাট বাজার লকডাউন ঘোষণা করি। এতে জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি হয়ে যাওয়ায় আমরা
একটা সিডিউল করে লকডাউন করেছি। যাতে বাজারে লোক সমাগম কম হয়। তাছাড়া উপজেলায়
আমাদের প্রচারণা চলছে। আর যারা সরকারী নিয়ম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা
তাদের আনা হচ্ছে আইনের আওতায়। শুধু প্রশাসনিক কার্যক্রমে এই মহামারীর হাত থেকে রক্ষা
পাওয়া সম্ভব নই। এই বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সকলের
ব্যাক্তিগত ভাবে সচেতন হতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের না হই । যদি ব্যাক্তি
সচেতনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয় তবেই এই মহামারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে
আশাবাদী


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest