ঢাকা ৫ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২০
সবজির দাম বাড়ায় ক্রেতাদের দীর্ঘশ্বাস!
রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রাম মহানগর প্রধানঃ-
চট্টগ্রাম নগরীর বাজারে উর্ধ্বমুখী সবজির দাম। কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। সরবরাহ ঘাটতির কারণ দেখিয়ে সবজির চড়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। দাম নাগালে না থাকায় পরিমাণে কম কিনছেন ক্রেতারা।
গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের আঘাতে মধ্য ও নিম্নবিত্তদের কমে গেছে আয়ের উৎস। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে মধ্য আয়ের মানুষের সেখানে ক্রমান্বয়ে সবজির দামের পাশাপাশি বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) নগরীর বিভিন্ন কাচাঁ বাজার সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে এমন চিত্র।
নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন বক্সিরহাট সবজির বাজারে অস্বস্তি বিরাজ করছে। বেশিরভাগ সবজি কেজি প্রতি বিক্রয়imageহচ্ছে এখন ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রয় হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। রসুন কেজি প্রতি ৯০ টাকা ও আদা ১৬০ টাকা। এদিকে ৩০ টাকার কাঁচামরিচ ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছে। দেশিয় কাঁচামরিচ কেজি প্রতি বিক্রয় হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। ধনেমরিচ বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।
শসার কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর কেজি প্রতি ১২০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা কেজি, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, তিতকরলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কচুর ছড়া ৪৫ টাকার বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ৯০ টাকা ও সিম ১৬০ টাকা কেজি।
কচুরশাকের আটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, মুলার শাক ১৫ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়ার শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা মোড়া প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগীর দাম কমলেও বেড়েছে অন্যান্য মাংসের। ব্রয়লার মুরগী ১২০ টাকা, সোনালী ২১০ টাকা ও দেশী ৩৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা।
বাজার করতে আসা গৃহিণী শাহনাজ সুলতানা বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রার সাথে সাথে সবজির বাজারের দামও প্রচুর বেড়েছে। সবজি কিনে মাছ মাংসের টাকা ঘাটতি পড়েছে। সবজি বাজারেই মধ্যম আয়ের মানুষের হিমসিম খেতে হচ্ছে। দাম এভাবে বাড়তে থাকলে গরীব দুঃখী মানুষের কি হবে? এধরণের দাম বাড়াটা কি পেঁয়াজের সিন্ডিকেট ব্যবসার মত?
রিকশা চালক রিয়াজ বলেন, ‘গরমের কারণে বেশি ভাড়া মারতাম পারি না। ইনকাম ও কইমা গেছে। বাজারে গেলে মাথায় ঠাডা পড়ে। ঘরে মানুষ আছে ৭ জন, ১ কেজি তরকারির দাম কয় ৮০ ট্যায়া। চাইল, ডাউলের ট্যাকা পামু কই? বছরে কুরবানিতে গোস্ত খাই, অহন তরকারি ও যদি গোস্তর দামে কিনন লাগে, কিনমু কেমনে?
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সবজি আসছে না। লকডাউনে সকল সবজির বাজার মূল্য ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। এতে সবজির উৎপাদনে কৃষকেরা যে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তা উসুল করতে হয়তো বেশি দাম হাকা হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কমছে না যার ফলে আমাদের বর্ধিত দামে পেঁয়াজ বিক্রয় করতে হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ী আলী বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে সবজির চাহিদা বেড়েছে। আর চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি। পাইকারি বাজারেও জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি বলে জানান তিনি।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST