প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় তুরস্ক ll

প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০

প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে চায় তুরস্ক ll

অনলাইন ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরো বাড়াতে চায় তুরস্ক এবং এই সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও যৌথ উৎপাদনের জন্য তৈরি আঙ্কারা। একইসাথে বাংলাদেশের বড় বড় বিভিন্ন প্রকল্পেও কাজ করতে আগ্রহী ওই দেশ। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সাথে বৈঠক হয় মেভলুতের। বৈঠকের পরে এক সংবাদ সম্মেলনে একে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা তুরস্কের সাথে বাণিজ্য, কোভিড-১৯, বহুপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। আমরা তুরস্কের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
গত সেপ্টেম্বরে আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধন হয়েছে এবং আজ (বুধবার) তুরস্কের নতুন দূতাবাস ঢাকায় উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশকে ‘এশিয়ার রাইজিং স্টার’ হিসেবে তুলনা করে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের অনেক বড় কোম্পানি শুধু টেক্সটাইল নয়, অন্যান্য খাতেও বর্তমানে বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহী। আমরাও তুরস্কের কোম্পানিগুলোকে এ দেশে আসতে উৎসাহ দিচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি নিকট ভবিষ্যতে আমাদের বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলার হবে, যা গত বছর প্রায় ১০০ কোটি ডলার ছিল।

বাংলাদেশ বর্তমানে বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তুরস্কের কনস্ট্রাকশন কোম্পানিগুলো পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম এবং চীনের পরেই তুরস্কের অবস্থান। এ খাতে আমরা একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা পণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত ভালো, দাম অত্যন্ত সুলভ এবং এগুলো কেনার জন্য কোনও শর্ত আরোপ করা হয় না। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ এই সুবিধাগুলোর সুযোগ নেবে। প্রতিরক্ষা খাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনে তুরস্ক রাজি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবকিছু তৈরি করি না। তবে ৭৫ শতাংশের বেশি আমরা উৎপাদন করি। এর কারণ হচ্ছে এর আগে যখন সমস্যা চলছিল তখন আমাদের বন্ধুরাও আমাদের প্রতিরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করেনি। সেজন্য আমরা বেশিরভাগ পণ্য নিজেরাই উৎপাদন করি।

এ খাতে তুরস্ক অনেক বিনিয়োগ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকটি দেশের সাথে আমরা যৌথভাবে পণ্য উৎপাদন করছি। রোহিঙ্গা বিষয়ে তুরস্ক বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে যথেষ্ট করছে না। আমরা শুধু কথা শুনতে চাই না। আমরা কাজেও তার প্রতিফলন দেখতে চাই। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তুরস্ক সফরের সময়ে ওই দেশের প্রেসিডেন্ট সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেন। যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যমান শুল্কবাধা এড়িয়ে নতুন পণ্য, বস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য খাতের বিনিয়োগ। এ ছাড়া তুরস্কের আর্থিক সহযোগিতায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রপতি প্রস্তাব দেন।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest