ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২১
মোঃ মোতাহার হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ডিজেল-কেরোসিনসহ জ্বলানী তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও চাল,ডাল,তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলার প্রগতিশীল সংগঠন সমূহের আয়োজনে আজ সোমবার বেলা ১২ টার সময় শহরেরে চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যপি এ প্রতিবাদ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জেএসডি ও ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, জেলা জাসদের সহসভাপতি খাদেমুল ইসলাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্য প্রসাদ ঘোষ নন্দন, জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন শান্তি,সদর উপজেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি আনোয়ার চৌধুরী,সদর উপজেলা সিপিবির সভাপতি আহসানুল হাবিব বাবু,সদর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার সম্রাট, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মাহাবুব আলম রুবেল,জেলা উদীচীর সহসভাপতি এম এস আহমেদ রাজু, সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক,সাংস্কৃতিক কর্মী ও কলামিষ্ট মাসুদ আহমেদ সুবর্ণ প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারীতে দেশের মানুষের আয় কমেছে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়ে বেকারত্বের বোঝা বহন করছে। নতুন করে ৩ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষ দরিদ্র হয়েছে (ব্র্যাক এবং পিপিআরসি’র জরীপে প্রকাশিত)। চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের জনগণ যখন দিশেহারা। তখন সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে । বরাবরের মতোই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিকে অজুহাত হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশে বছরে মোট যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয় তার ৭৩ শতাংশই ডিজেল। সড়ক ও নৌ পরিবহন, কৃষির সেচ পাম্প এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অনেক ক্ষেত্রেই ডিজেলের ব্যবহার হয়। এর ফলে যানবাহনের ভাড়া বাড়ানো হল ২৭ শতাংশ । কৃষি পণ্য উৎপাদনে খরচ বাড়বে, বিদ্যুতের মূল্যও আবারও বৃদ্ধিপাবে। পণ্য পরিবহনের খরচ বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দামও বাড়বে। অন্যদিকে সাধারণ পরিবহন যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে নৈরাজ্য বিরাজ করবে এবং জীবন-যাপনের ব্যয় আরও বাড়বে। সুতরাং সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনস্বার্থবিরোধী।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে ডিজেল, কোরোসিন, ফার্নেস অয়েল, এলপিজি’র দাম বাড়ানোর কথা সরকার বলছে অথচ ২০১৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কম থাকার পরও দেশে দাম কমায়নি। এর মাধ্যমে বিপিসি ৭ বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। সেই টাকার বর্তমান লোকসান সমন্বয় করলে এবং লিটারে সরকার ভ্যাট ট্যাক্স বাবদ ১৭ টাকার বেশি নেয়া বাদ দিলেই বিপিসিকে আর ১৩ টাকা লোকসান দিতে হয় না। সাধারণ মানুষকেও মূল্য বৃদ্ধির চাপে পরতে হয় না।
বর্তমানে জনগণের মতামতের আর কোনো তোয়াক্কা করা হয় না। তাই যখন যা খুশি, মালিক শ্রেণির স্বার্থে তাই করা হচ্ছে। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের গণআন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST