রৌমারীতে চাকুরী নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিল এক এনজিও কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ১:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২২

রৌমারীতে চাকুরী নামে কোটি টাকা  হাতিয়ে নিল এক এনজিও কর্মকর্তা

রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার স্থানীয় এনজিও সেন্টার ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট কুড়িগ্রাম-সিএসডিকর নির্বাহী পরিচালক আবু হানিফের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, পিইডিপি-৪ শিক্ষা প্রকল্পের ‘আউট অব স্কুল চিল্ড্রেন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ২০২০ সালে সহযোগী এনজিও হিসেবে কাজ পায় সিএসডিকে। পরে বিভিন্ন পদের বিপরীতে উপজেলায় মোট ১৬২ জনের নিয়োগ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

এর মধ্যে প্রোগ্রাম ম্যানেজার ২ জন, হিসাবরক্ষক ২ জন, প্রোগ্রাম সুপারভাইজার ১৪ জন, শিক্ষক ১৪০ জন, অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর ২ জন ও অফিস সহায়ক পদে ২ জন। এসব পদে আবেদন করেন প্রায় চার শতাধিক চাকরি প্রার্থী। আবেদনকারী সবার মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় নিয়োগ বাণিজ্য। ’ অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ১৬২ জনকে নিয়োগের কথা থাকলেও চার শতাধিক চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ নেন আবু হানিফ। ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রতি শিক্ষক পদের জন্য ৫০ হাজার, সুপারভাইজার পদে ১ লাখ টাকা করে ঘুষ নেন সিএসডিকের নির্বাহী পরিচালক আবু হানিফ। যারা নিয়োগপত্র পেয়ে পাঠদান করছেন তারাও ১ বছর ধরে কোনো বেতন-ভাতা পাননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ভুক্তভোগী লিমা খাতুন, বিউটি খাতুন, বাছিরন আক্তার, সাবানা খাতুন, আখি আক্তার, নাছিমা খাতুন, আনোয়ার হোসেন ও সাহাদৎ হোসেনের কথা বলে জানা যায় এসব তথ্য।

এ ব্যাপারে সিএসডিকে এনজিওর নির্বাহী পরিচালক আবু হানিফ বলেন, ‘ঘটনা সত্য না মিথ্যা এ বিষয়টি ইউএনও দেখবেন। ওরা (ভুক্তভোগীরা) অফিসে আসছিল, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest