ঢাকা ১১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২২
যশোর অফিসঃ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভোগ্যপন্যের দাম। প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড ভাঙছে আর গড়ছে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য। মধ্যবিত্ত আর নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তবুও জীবন থেমে থাকেনা। সাধারণ মানুষের জন্য গরু-ছাগলের মাংস খাওয়া এখন অনেকটা দুঃস্বপ্নের মত হয়ে গেছে। সব জিনিসের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সব ধরনের মাংসের দাম।
সরজমিন ঝিকরগাছা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৬২০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় মাংস কিনতে আসা সুমাইয়া খাতুনের সাথে। তিনি বলেন, মসজিদে ইফতারি দেবো, ৫ কেজি মাংস দরকার কিন্তু দামের কারণে ৩ কেজি কিনতে হলো।
পল্লব নামে একজন বলেন, দাম বেশি হওয়ার কারণে এই রোজায় একদিনও বাচ্চাদের মাংস খাওয়াতে পারিনি।
আরাফাত হোসেন নামের একজন মাংস ক্রেতা বলেন, অল্প অল্প টাকা জমিয়ে আজ বাড়ির জন্য এক কেজি গরুর মাংস কিনতে সক্ষম হয়েছি।
মাংস বিক্রেতা খলিল, আখের এবং আঃ রহিম বলেন, গরুর দাম বেশি হওয়ার কারনে এই দামে মাংস বিক্রি করেও আমাদের লাভ হচ্ছে না। ঈদের সময় মাংসের দাম আরও বাড়বে বলে তারা জানান। এদিকে ছাগলের মাংসের দোকানে যেয়ে দেখা যায় সেখানে ৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অথচ শবেবরাত এর আগেও দাম ছিল ৭৫০ টাকা।
মাংস কিনতে আসা আঃআজিজ বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনেরই গরুর মাংস খাওয়া নিষেধ, তাই মাঝে মধ্যে ছাগলের মাংস কিনি। কিন্তু যে দাম তাতে আর মাংস খাওয়া হবে বলে মনে হয় না। সিন্ডিকেট করে মাংসের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ছাগলের মাংস বিক্রেতা হাফিজুর, মোখলেছুর, হাবিবুর জানান, ১৫ কেজি মাংসের ছাগল ১২/১৩ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই মাংসের দাম বেশি। তবে ঈদে আর বাড়বে না বলে তারা এই প্রতিবেদককে আশ্বস্ত করেন।
স্বস্তি নেই মুরগির দোকানেও। মুরগী বিক্রেতা রিয়াজ জানান, দেশী মুরগী ৫৫০ টাকা, সোনালী মুরগী ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগী ৩৭০ টাকা আর ব্রয়লার মুরগী ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দু-তিনদিনের মধ্যে মুরগির দাম আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।
ইলিশ মাছের বাজারে যেয়ে দেখা যায়, বিক্রেতা স্বরজিত আর আনন্দ বিশ্বাস দুজন ইলিশ মাছ নিয়ে বসে আছে। কোনো ক্রেতা নেই। তারা জানান, ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ৫০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ ৮০০ টাকা এবং কেজির ওপরে সাইজের মাছ ২০০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ার কারনে ক্রেতা কম বলে তারা জানান। এছাড়াও ঝিকরগাছা বাজারে বিভিন্ন সব্জির দাম বেশ চড়া দেখা যায়।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST