পাঁচবিবিতে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে থানায় মামলা! ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামিরা

প্রকাশিত: ২:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২২

পাঁচবিবিতে ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে থানায় মামলা! ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামিরা

আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জোর পূর্বক ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সেটি ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগে থানায় মামলা করেছে এক ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী।

পাঁচবিবি পৌর এলাকার খাস বাগুরীর হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে মহিপুর কলেজের ছাত্রী ২০১৬ সালে রসুলপুর বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে ওই এলাকার আয়মা রসুলপুর সোনারপাড়া গ্রামের গনেশ মন্ডলের ছেলে জৈনক সবুজ মন্ডল(পাপ্পু)’র সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২০১৯ সালে কোনো একদিন ওই মেয়েটির বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ বুঝে বাড়িতে প্রবেশ করে পাপ্পু।
পরে বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুকৌশলে সরলতার সুযোগ নিয়ে মেয়েটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে দৈহিক মিলন করে এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে।

এ ঘটনায় গত ৯ জুন ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী নিজে বাদি হয়ে পাঁচবিবি থানায় নারী শিশু নির্যাতন,ধর্ষন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছে।

ভুক্তভোগী ওই মেয়ে বলেন, আমার অজান্তে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ভিডিও ধারন করেছিলো পাপ্পু এবং বাধ্য করাতো মুসলিমদের বোরখা পরাতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় আবাসিক হোটেল ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় নিয়ে গিয়ে দৈহিক সম্পর্ক জরাতো।

যেতে না চেয়ে বিবাহের কথা বললে রাজি হতো না উল্ট অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতো, একপর্যায়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, পরে নির্রুপার হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছে।

মেয়েটির মা বলেন, সরলতার সুযোগ নিয়ে পাপ্পু আমার মেয়েটির জীবন নষ্ট করেছে।
মেয়ে আমার সমাজের লোক লজ্জার ভয়ে গত কয়েক মাস আগে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল,টের পেয়ে আমিসহ প্রতিবেশীরা মিলে তাকে উদ্ধার করেছে। যেকোনো মুহূর্তে আত্মহত্যা করতে পারে।
পাপ্পুর দৃশ্যমান দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই যা দেখে কোন ছেলে এমন কাজ না করে।

প্রতিবেশীরা জানান,মেয়েটি পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল, পাপ্পুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক অনেক আগে থেকে আমরা জানি, পাপ্পুর উচিত এখোন মেয়েটিকে বিয়ে করা, যদি না করে তাহলে মেয়েটির জীবন নিয়ে ধুলাখেলা করা হচ্ছে, আর এই দায় তাকেই নিতে হবে।

পাপ্পুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাওয়ায় পাপ্পুর বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের সাথে দেখা হলে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে আড়ালে চলে যান।

পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, গত ৯ জুন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্ত করে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest