তিন দিবসকে ঘিরে চাঙ্গা যশোরের গদখালী ফুলের বাজার

প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০

তিন দিবসকে ঘিরে চাঙ্গা যশোরের গদখালী ফুলের বাজার

এসএম স্বপন,বেনাপোলঃ আসন্ন তিন উৎসবকে ঘিরে চাঙ্গা এখন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ফুলের বাজার। বসন্ত বরণ, ভ্যালেন্টাইনস ডে ও ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এই তিন উৎসবের দিকেই যেন চেয়ে থাকেন গদখালী বাজারের ফুল চাষিরা। সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে ঘিরে টুকটাক ফুল বিক্রি হলেও মূলত এই তিন উৎসবকে ঘিরেই যেন তাদের স্বপ্নের বীজ বপন হয়। আর এই তিন দিবসেই জমজমাট হয়ে ওঠে ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালী। গদখালী যেন সেজেছে টুকটুকে লাল, কমলা, হলুদ ফুলের সংমিশ্রণে নতুন রূপে প্রকৃতি হয়েছে একাকার। গোটা এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন দোল খাচ্ছে জারবেরা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, হলুদ গাঁদা ও চন্দ্রমল্লিকাসহ হরেক রকমের ফুল। বাতাসে ফুটন্ত ফুলের দোলে রঙ লেগেছে ফুলচাষি থেকে শুরু করে বিক্রেতাদের মনেও। ফুলের হাসি তাই তাদের চোখে মুখে। যেন স্বপ্নকে সার্থক করার মৌসুম। অন্য রকম আনন্দ যেন দোলা দিচ্ছে তাদের মনে। এ যেন রঙিন স্বপ্ন হাতে এসে ধরা দিচ্ছে। বর্তমানে বাজারে ২ থেকে ৪ টাকা দরে গোলাপ, ৫ টাকা দরে জারবেরা, ৩ টাকা দরে গ্লাডিওলাস ফুল বিক্রি হচ্ছে। এসব দিবসে এই ফুলের দাম দুই থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান চাষিরা। ফুলের রাজধানী গদখালীতে প্রতিদিন সূর্য ওঠার অনেক আগেই চাষি, পাইকার, মজুরের হাঁক ডাক শুরু হয়। দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ফুল কিনতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা আসেন এই বাজারে। খুব সকাল সকালই এ বাজার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল পাঠানো হয়ে থাকে। গদখালীর এক ফুলচাষি সাইদুর মিয়া জানান, তিনি এবার এক বিঘা জমিতে গাঁদা, এক বিঘা জমিতে জারবেরা ও ১৫ কাঠা জমিতে গ্লাডিওলাস ফুলের চাষ করেছেন। এই তিন দিবসে তিনি তার জমি থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার ফুল বিক্রি করার আশা করছেন। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি গদখালীর ফুলচাষি আব্দুর রহিম জানান, এবার ফুল বিক্রি ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গদখালীর এই বাজারে গত মৌসুমে ২৫০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছিল বলে জানান তিনি। ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, গদখালীতে এ বছর ৬২৫ হেক্টর জমিতে সাড়ে ছয় হাজার চাষি ফুল চাষ করেছেন। ১০৫ হেক্টর জমিতে গোলাপ, ১৬৫ হেক্টর জমিতে রজনীগন্ধা, ২৭২ হেক্টর জমিতে গ্লাডিওলাস, ৫৫ হেক্টর জমিতে গাঁদা, ২২ হেক্টর জমিতে জারবেরা ও অন্যান্য ফুল চাষ করা হয়েছে প্রায় ৬ হেক্টর জমিতে।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest