জুলহাস উদ্দীন তেতুলিয়া উপজেলা প্রতিনিধি: বছরের শেষ দিকে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা দোলা দিচ্ছে প্রকৃতিতে। শীতের শেষে দিকে রোদ ও বাতাসের দোলাচলে গাছের পাতা পড়ছে। মৌসুমের এ সময়ই সমতলের চা বাগানে প্রুনিং বা কলমের কাজ চলে। ফলে বাগানে বাগানে উঁকি দিচ্ছে নতুন কুঁড়ি। বাংলাদেশে চায়ের তৃতীয় অঞ্চল হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা। তেঁতুলিয়ায় সমতল ভূমির চা বাগানের সেকশন তালিকা ভুক্ত করা চা গাছগুলোর মাথা প্রুনিং(কাটিং) করা হয়। চা গাছের বৃদ্ধি ও সুস্থ্যতা এবং অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রতিবছর বাগানে বাগানে প্রুনিং কার্যক্রম চলে আসছে। বছরের শেষ ও শুরুর দুই মাস প্রুনিং কার্যক্রম চলায় সে সময় চা কারখানা বন্ধ থাকে। ইতোমধ্যে চা বাগানে প্রুনিংর কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে আগাছা কেটে ও আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করে রি। অভিজ্ঞ চা চাষীরা জানান আমাদের চা বাগানের গাছগুলোতে প্রুনিং করা শেষ। এখন নতুন কুঁড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। প্রুনিংয়ের পর চা বাগানগুলোতে গাছের গোড়া পরিষ্কার, চা গাছের মধ্যে বেড়ে ওঠা আগাছা উপড়ে ফেলে দেওয়াসহ প্রভৃতি কাজ চলমান রয়েছে। চা গাছে প্রুনিং করার পর গাছের গোড়ার মধ্যে (উরি পোকা) বাসা করে থাকে। চা গাছের জন্য উলু পোকা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই পোকা চা গাছের গোড়া বা শরীরের অংশ খেয়ে ফেলে। এতে চা গাছগুলো মরে যায়। তাই প্রুনিংয়ের পর আমরা সমতল জায়গায় তা পরিষ্কার করে থাকি বলে জানান তেঁতুলিয়ার বিহারিপাড়া চা চাষি আব্দুল্লাহ আল- মামুন। তিনি আরও বলেন, আগাছা পরিষ্কারের পাশাপাশি চা গাছে কিছু পরগাছা জন্ম নেয়। তখন ও গুলোকে পরিষ্কার করা হয়। তারপর শুষ্ক মৌসুমে যাতে আগুন না লাগে তার জন্য আমরা চা বাগান পরিষ্কার করে রাখি। এগুলো আমরা করি সব প্রাপ্ত বয়স্ক চা গাছে। প্রুনিংয়ের পর চা বাগানে বৃষ্টিপাত অনেকটা আশীর্বাদ হয়ে আসে। বৃষ্টির পরশ পেলেই সেই কাটা অংশ থেকে নতুন চারা গজাতে শুরু করে বলে জানান অভিজ্ঞ কাজী অ্যান্ড কাজী চা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার কবীর আকন্দ।।