ফকিরহাটে চিংড়ি চাষে ধস , চিংড়ি চাষে নিরুৎসাহিত প্রান্তিক চাষিরা

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০

ফকিরহাটে চিংড়ি চাষে ধস , চিংড়ি চাষে নিরুৎসাহিত প্রান্তিক চাষিরা
মোঃ সাগর মল্লিক বাগেরহাট প্রতিনিধি:-  গলদা চিংড়ি উৎপাদনের জন্য দেশব্যাপী বিখ্যাত বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চলতি বছর এ উপজেলায় চিংড়ি চাষে ধস নেমেছে। যে কারণে আগামী মৌসুমে চিংড়ির ভালো উৎপাদন ছাড়া প্রান্তিক চাষিদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয় বলে জানান স্থানীয়রা। বাগেরহাট জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় চিংড়ি চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে মিষ্টি পানির গলদা চিংড়ি উৎপাদনে বিখ্যাত ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারি উপজেলা। তবে দক্ষিণাঞ্চলের উল্লেখযোগ্য গলদা উৎপাদন হয়ে থাকে ফকিরহাট উপজেলাতেই। উপজেলার প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ এ পেশায় সংশ্লিষ্ট। চলতি বছর অতিরিক্ত গরম এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে প্রায় ৭০ শতাংশ গলদা চিংড়ি মারা যায়। এতে অনেক চাষি নিজেদের পুঁজি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। এছাড়া ব্যাংক এবং এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অনেক চাষি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের দাবি সরকার সহজ শর্তে সহায়তা না করলে প্রান্তিক চাষিরা পুনরায় চিংড়ি চাষে নিরুৎসাহিত হবে। প্রান্তিক চাষিদের ঋণ মওকুফ বা অর্থিক সহায়তা প্রদানে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল দৈনিক আলোকিত সময় কে জানান, যে মিটিং আমরা করেছিলাম সেখানে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছিল।’বিশেষজ্ঞরা দেশের অর্থনীতির স্বার্থে চাষিদের আরও বেশি সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।পিএইচডি গবেষক মো. ইফতেখারুল আলম দৈনিক আলোকিত সময় কে বলেন, মৎস্য কাজের ক্ষেত্রে যদি টেকনোলজি গ্রহণ করা হয় তাহলে এ মড়ক রোধ করা সম্ভব হবে। উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফকিরহাট উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৫শ’ চিংড়ি চাষি রয়েছেন। ৮ হাজারেরও বেশি ঘেরে, সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে ১৮শ’ মেট্রিক টনের বেশি চিংড়ি উৎপাদন হয়ে থাকে।

alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest