আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ মাত্র আড়াই মাসে ঠাকুরগাঁও জেলায় নিমর্মভাবে দুটি হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে স্কুল পড়ুয়া মেয়ে শিক্ষার্থী। একজন খুন হয়েছে স্কুল শিক্ষক লাবনী আক্তারের বড় বোনের বাড়িতে। অপরজন সম্পর্ক যুক্ত মামার হাতে । ৪ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবনী রানী বাড়িতে খুন হয়েছে। তাকে সোহাগ চন্দ্র বর্মন নামে এক বখাটে বাড়িতে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। পরদিন সকালে ঘাতক সোহাগকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঐ স্কুল ছাত্রীর বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার আকচা পল্টন আশ্রমপাড়া গ্রামে। ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানান, সোহাগ চন্দ্র বর্মনকে আদালতে হাজির করা হলে সে তার দোষ স্বীকার করে। সোহাগ স্বীকারোক্তিতে বলে শ্রাবনীকে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে তারা গোপনে বিয়ে করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ৭-৮ দিন ধরে তাদের যোগাযোগ বন্ধ ছিল। শ্রাবনীর বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে সে তাদের বাড়িতে গিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। শ্রাবনীর চাচাতো বোন লাবনী রায় জানান, দীর্ঘ দিন ধরে সোহাগ দিদিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তবে দিদি তা প্রত্যাখান করে। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন সোহাগকে শাসন করে। তার প্রতিশোধ নিতে শ্রাবনীকে হত্যা করে সে। অপর এক ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সুমনা হক তার স্কুল শিক্ষক লাবনী আক্তারের বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে খুন হয়। পুলিশ জানান, এই শিশু শিক্ষার্থী গেল ডিসেম্ববরের ১৬ তারিখ বিকালে মাকে জানিয়ে বাড়ি থেকে কিছু দুরে তার স্কুল শিক্ষক লাবনী আক্তারের বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এরপর সে বাড়িতে ফিরেনি। চারদিন পর ঐ বাড়ির একটি ঘরের মাটি খুরে সুমনার মরাদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঐ স্কুল শিক্ষিকার বোনের ছেলে রিয়াজ আহমেদ কাননকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কানন ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র। সেও আদালতে তার দোষ স্বীকার করেছে। ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক এসব ঘটনার জন্য অপসংস্কৃতি, অসুস্থ সমাজ ব্যবস্থা ও বাবা-মার অসচেতনাকে দায়ি করেছেন।