নাটোরের বড়াইগ্রামে “উলু ঘাস”চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২০

নাটোরের বড়াইগ্রামে “উলু ঘাস”চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা
বুলবুল আহাম্মেদ,নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে বাড়ির আশেপাশের পতিত জমি, সড়কের দুই পাশ, বিলের পাড়ে উলু ঘাস চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন কয়েকশ কৃষক। এ ঘাসেই জোটে তাদের দু’মুঠো অন্ন। পানের বরজে পান গাছকে বাঁশের কাঠির সঙ্গে বাঁধার জন্য ব্যবহার করা হয় উলু ঘাস। এ ঘাস উল্যা বা চিরু নামেও পরিচিত। উলু ঘাস বেশ শক্ত ও লম্বায় ৩-৪ ফুট হয়। ওই উপজেলার নগর গোপালপুর ইউপির উলা ঘাস ব্যবসায়ী মো. রিফাত আলী বলেন, উলু বা ঘাস ব্যবহার উপযোগী করতে কয়েকটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। কৃষক সাবের আলী জানান, জমি থেকে ঘাস কাটার পর মেশিনের মাধ্যমে বাছাই করে আটি বেঁধে পানিতে দুইদিন ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর রোদে শুকিয়ে বড় আটি বেঁধে ভালো ঘাস বাছাই করতে হয়। বাছাই শেষে ঘাসের আগা কেটে আটি বাঁধা হয়। কৃষক মনসুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে দুইভাবে উল্যা ঘাস বিক্রি হয়। কেউ সরাসরি কাচা ঘাস কেটে এনে বিক্রি করেন আবার কেউ প্রক্রিয়াজাত করে এনে বিক্রি করেন। কাচা ঘাস প্রতি মণ ৯শ’ থেকে এক হাজার টাকা, প্রক্রিয়াজাত করা ঘাস ১৫শ’ থেকে ১৮শ’ টাকায় বিক্রি হয়। এ ঘাস নষ্ট হয় না। তিনি আরো বলেন, বড়াইগ্রামে প্রতিবছর পাঁচ কোটি টাকার বেশি উলু ঘাস কেনাবেচা হয়। চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়। আমাদের উলু ঘাস নিজেদের চাহিদা মেটানোর পর কৃষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চট্রগ্রামে সরবরাহ করা হয়। এ কারণে কৃষকরা পতিত জমিতে উলু ঘাস চাষ করে বাড়তি আয় করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ বলেন, উলু ঘাস চাষ করে যেহেতু কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এ ঘাস চাষে সরকারি সহযোগিতার বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest