জলঢাকায় কাঁচাবাজার ও মাছবাজার স্থানান্তরে ভাইস চেয়ারম্যানের বাধা

প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২০

জলঢাকায় কাঁচাবাজার ও মাছবাজার স্থানান্তরে ভাইস চেয়ারম্যানের বাধা

হারুন-অর-রশিদ(রিয়াদ) জলঢাকা (নিলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় পৌরশহরের পাইকারী কাঁচাবাজার ও মাছবাজার প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে বিপদজনক হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে বাজার দু’টিতে। ফলে করোনা ভাইরাসের আশংকা থেকেই যায়। বাজার দু’টির স্থান পরিবর্তন করে ফাকা মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানান্তরের দাবী জানিয়েছিল এলাকাবাসী।

সরজমিনে দেখা যায়,বাজার দু’টিতে হাজার হাজার মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে পূর্বের ন্যায় নিত্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পন্য পাইকারী ও খুচরা ক্রয় করছেন। দেখে মনে হয় করোনা ভাইরাস সস্পর্কে তারা জানে না। কিন্তু কার দেহে এই করোনা ভাইরাস রয়েছে কিংবা থাকতে পারে কেউ জানে না। এতে করে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে অনেকের মাঝে।

এ নিয়ে পৌরবাসীদের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে বাজার দু’টির স্থান পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল।

তারইলক্ষ্যে গত (১৬ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলঢাকা থানা চত্বরে এক জরুরি সভার আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন,জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুুল আমীন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর,পৌরসভার প্যানেল মেয়র রুহুল আমিন নির্বাহী মেজিস্ট্রেড ও সহকারী কমিশনার ও (ভূমি)গোলাম ফেরদৌস,থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান,উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন (রুবেল),সাবেক মেয়র ও বণিক সমিতির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বাবলুসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীগণ।

সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে পাইকারী কাঁচাবাজার ডাকবাংলো ঈদগাহ মাঠে ও মাছবাজার পুরাতন গরুহাটিমাঠে অস্থায়ীভাবে করার সিদ্ধান্ত হয়।

সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য চুন দিয়ে গোল চিহ্ন দিতে গেলে সহকারী কমিশনারকে বাধা প্রদান করেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আযম এলিচ।

এ বিষয়ে জলঢাকা থানা ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা জলঢাকাবাসীকে করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখতে আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি বাজার দু’টির দ্রুত স্থান পরিবর্তনের জন্য সকলেই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম,কিন্তু উপজেলা জাসদের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান এলিচ সাহেব সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাধা প্রদান করেছেন। তাই বাজারটিকে স্থানান্তর করা গেলোনা।

’’ এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শহিদ হোসেন রুবেল একান্ত সাক্ষাৎকারে মুটোফোনে বলেন,‘‘ ভাইস চেয়ারম্যানের বাঁধার কারণে বাজার দু’টির স্থান পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি,বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত।পরবর্তীতে আবারও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব। সকলের সিদ্ধান্তকে ভাইস চেয়ারম্যান সাহেব কেন বিরোধিতা করছেন তা আমার বোধগম্যনয়,উপস্থিত সকলের সিন্ধান্তকে তিনি মেনে নিলেন না কেনো এটা আমি এখনো বুঝতে পারলাম না। ঈদগাহ মাঠের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বাবলুর সম্মতিতে আমারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।’’

এ বিষয়ে পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী (কমেটের) সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার চেস্টা করেও পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আযম এলিচের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest