বাগেরহাটের মহিষ প্রজনন কেন্দ্রের সেড নির্মানের কাজের টেন্ডারে কোটি টাকার দুর্নিতী ও অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২০

বাগেরহাটের মহিষ প্রজনন কেন্দ্রের সেড নির্মানের কাজের টেন্ডারে কোটি টাকার দুর্নিতী ও অনিয়মের অভিযোগ
মোঃ সাগর মল্লিক বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাংলাদেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন কেন্দ্র বাগেরহাটে।এই মহিষ খাত থেকে ব্যাপক পরিমাণ রাজস্ব পায় সরকার।কিন্তু ব্যাপক হারে রাজস্ব আদায় যে কেন্দ্র থেকে আসে সেখাইনেই যদি পরে দূর্নিতীর ছায়া তবে দুর্নীতি পরবর্তীকালীন রাজস্ব বাড়বে নাকি কমবে সেটা সকলের জানা। সম্প্রতি দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন কেন্দ্রে টেন্ডার নিয়ে কোটি টাকার দুর্নিতী ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় (২য় পর্যায়ের প্রকল্পের) মহিষ প্রজনন কেন্দ্রে ৪০ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে হয়েছে দূর্নিতী। তারই ধারাবাহিকতায় অনুসন্ধ্যানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় গত চলতি বছরের ১২ই মার্চ,১৫ ই মার্চ এবং ১৬ ই মার্চ ৩টি নোটিশের মাধ্যমে সর্বমোট ১৩টি কাজে প্রায় ৪০ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করেন উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম। তথ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে জানা যায়, প্রতিটি কাজ থেকে ৫থেকে ১০ % টাকা গ্রহন করেন বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট থেকে। আর এতেই চলে আসে ২কোটি ৫০ লাখ টাকা পকেটে ভরে নেয় এই প্রকল্প পরিচালক । যার ফলে সাধারণ ও ভালো ঠিকাদার সেই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। কেননা রেড কোড ক্রয় বিক্রয়ের ফলে অসাধু গুটি কয়েক ঠিকাদার টাকার বিনিময়ে এগিয়ে যায় অনেকটা। তবে মুল্যায়নের আগে প্রকল্প পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন গত সপ্তাহে। জানা যায়, নতুন দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তারা আবারো সেই টেন্ডার নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বানিজ্য। আবারো নতুন করে দেন দরবার শুরু করেছে তারা।এদিকে সংখা থেকে যাচ্ছে এ কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে।আদৌ কি বাস্তবায়িত হবে এই কাজটি,নাকি এভাবেই নাটকীয় ভাবে কাজ চলবে হরহামেশাই,নাকি আগের টেন্ডার গুলোর মতই হবে এই টেন্ডার। অনুসন্ধানে জানা যায়,গত ১বছর আগে একই প্রকল্পে প্রায় ২কোটি টাকার খাবারের টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত ঠিকাদার এই খামারে এখনও একটি টাকারও খাবার দিতে পারেনি বলে জানা যায়। ৬মাস আগে দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামারে ১০ কোটি টাকার মহিষ কেনার টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল । এখনও পর্যন্ত ঠিকাদার একটি মহিষও খামারে দিতে পারেনি। খামার কর্তৃপক্ষ সেড নির্মানের টেন্ডার দিলেও সেড যেখানে নির্মাণ করবেন সেই জায়গা এখনও অধিগ্রহণ হয়নি। এমতাবস্থায় ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ঠিকাদাররা। তাদের দাবী শতভাগ সচ্ছতার সহিত দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামারের সকল টেন্ডার দেওয়া হোক। অন্যথায় এসকল দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করে ভাল কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করে এই খামারকে রক্ষা করা।এবাভেই যদি চলতে থাকে তবে দেশের এক মাত্র মহিষ প্রজনন খামারটি ধংশ হয়ে যাবে অচিরেই। সেই সাথে সাধারন ঠিকাদারেরা কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাই,যাতে সরকারি এ সব প্রকল্পে দুর্নীতিবাজ লোক বাদ দিয়ে ভাল কোন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হোক এবং তাদেরকে সেখানে বসিয়ে জনগনের কষ্টের টাকা তছরুপ করা বন্ধ করা হোক ।তাই সাধারণ ঠিকাদারদের দাবী অনতিবিলম্বে এই সেড নির্মান কাজের টেন্ডার বাতিল করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় রি টেন্ডার করে সকল সাধারণ ঠিকাদারদে রক্ষা করেন। এব্যাপারে মহিষ উন্নয়ন খামারের মহাপরিচালক আব্দুল জব্বার শিকদারের সাথে এই নাম্বারটিতে 01711262773 যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest