ঢাকা ১৫ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০
আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা প্রতিনিধি।পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার,মহিপুর থানাধীন, কুয়াকাটায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেই সরকারি কোনো এম্বুলেন্স ব্যবস্থা। এতে ইমারজেন্সি রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
কুয়াকাটার আলিপুরে গতকাল সকাল দশটা ত্রিশ মিনিটে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিক সংকটাপন্ন হয়ে পরে। এ সময় স্হানীয় সেচ্ছাসেবী কে এম বাচ্চু, আল-আমীন ও
বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। কুয়াকাটা পৌরসভার ৫নং ওড কাউন্সিলর মোঃআবুল হোসেন ফরাজি বলেন,
হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স সুবিধা না থাকায় এমারজেন্সি রুগীকে ১ ঘন্টা অপেক্ষার পড়ে নিতে হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। এতে ঘটতে পাড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভাধীন হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর থেকেই রয়েছে চিকিৎসক সংকট।
একজন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎক ও একজন ওয়ার্ড বয় দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
আরো জানা গেছে,লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার উপকূলীয় এ অঞ্চলে প্রায় ৪০,০০০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র এই হাসপাতলটি হলেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কুয়াকাটা পৌরসভা, লতাচাপলী ইউনিয়নের কচ্ছপখালী, নবীনপুর, পাঞ্জুপাড়া, পশ্চিম কুয়াকাটা, শরীফপুর, মস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরসহ আশেপাশের গ্রামের মানুষগুলো।
এছাড়া সব সময় কমবেশি পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত থাকে এই কুয়াকাটা৷ কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেয়ে কষ্ট ভোগ করে নিজ গন্তব্যে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয় সংগঠন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন এর ডিরেক্টর কে এম বাচ্চু সমস্যার কথা তুলে বলেন,জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,এই ৪০হাজার মানুষের জন্য একটা সরকারি এম্বুলেন্স নেই, এর চেয়ে আর দুঃখ কি থাকতে পারে কুয়াকাটা সর্বস্তরের জনগনের। এবং এখানে ইমার্জেন্সি রোগী নিয়ে গেলে হাসপাতালে ডাক্তার পাওয়া যায় না, খোজ করতে গেলে তাদের পাওয়া যায় কোয়ার্টার এ,আর কত অবহেলিত হতে হবে কুয়াকাটাবাসীর। তিনি আরো বলেন মহিপুর কুয়াকাটা সর্বস্তরের মানুষের দাবি এই হাস্পাতালে একটি সরকারী এম্বুলেন্স দেওয়া হোক।
