ঢাকা ৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪২ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০
মো. ওমর ফারুক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
নভেল ভাইরাস করোনা প্রতিরোধে সরকারি নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও মাষ্ক পরে সাধারনের চলাচলের বাধ্যবাধকতায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী খেয়া ঘাটে মাষ্ক পরিয়ে যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। মুখে মাষ্ক ছাড়া কোন যাত্রী আসলে তাদের মাষ্ক পরার বিষয়ে সচেতনতামূলক তথ্য দিয়ে উৎসাহীত করেন খেয়াঘাটের ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরাও তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মাষ্ক পরার বিষয়ে যাত্রীদের সচেতন করছেন বালিয়াতলী খেয়া ঘাটের ইজারাদার মুছা হাওলাদার ও তার লোকজন। কেহ মাষ্ক ছাড়া আসলে তাকে উৎসাহীত করে পাশের দোকান হতে মাষ্ক কেনার অনুরোধ করেন। যাত্রীরাও তাদের অনুরোধে মাষ্ক ক্রয় করে মুখে পরে তারপরে অন্যত্র যাচ্ছে।
বড় বালিয়াতলীর নয়াপাড়া হতে আগত মো. আলাউদ্দিন ও তার ছেলে ইছা মাষ্ক ছাড়া খেয়া পার হয়ে কলাপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে ঘাটের টোলের সামনে তাদের আটকে দেয়া হয়। মুখে মাষ্ক পরার বিষয়ে সচেতনতামূলক কথা বললে বুঝতে পেরে তারা লজ্জিতবোধ করেন। পরে পাশের একটি দোকান হতে মাষ্ক ক্রয় করে মুখে ব্যবহার করেন।
যাত্রী আলাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খেয়াঘাট কর্তৃপক্ষ যে উদ্যেগ নিয়েছে আমরা তার সাধুবাদ জানাই। প্রত্যেকটি খেয়া ঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মানুষকে এভাবে সচেতন করার ব্যাবস্থা করলে ভালো হয়। আমরা সবাই সচেতন হলে করোনা হতে নিরাপদ দুরত্বে থাকা সম্ভব।
এবিষয়ে বালিয়াতলী খেয়া ঘাটের ইজারাদার মুছা হাওলাদার বলেন, আমাদের এখান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যাত্রী যাতায়ত করে। কার শরীরে করোনার ভাইরাস রয়েছে আমরা তা বলতে পারিনা। তাই, সকল যাত্রীকে মাষ্ক পরার বিষয়ে সচেতন করে মুখে মাষ্ক পরতে উৎসাহীত করছি। যাত্রীরাও আমাদের কথামত মাষ্ক ব্যবহার করছে। আজ এপর্যন্ত অন্তত শতাধিক যাত্রীদের মাষ্ক ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছি। অসহায় ও বয়োবৃদ্ধ যাদের মাষ্ক কিনতে সমস্যা হয় আমাদের নিজ অর্থায়নে তাদের মাষ্ক ক্রয় করে দিচ্ছি। সমাজের প্রত্যেককে তার নিজ অবস্থান হতে সচেতনতামূলক প্রচার ও সচেতন হওয়ার আহ্ববান জানান তিনি।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST