ফকিরহাটে অন্ধের টাকা আত্বসাৎ করলো ইউপি সদস্য

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল হারুন অন্ধের থেকে টাকা নিয়েও করে দেইনি ভাতা কার্ড। যে এই পৃথিবীর আলো দেখতে পাইনি, দেখতে পাইনি তার বাবা মায়ের চেহারা খানি । তাকেও ছাড়লোনা ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল হারুন। উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাকিম সরদারের পুত্র ফরহাদ সরদার জন্ম থেকেই পৃথিবীর আলো দেখতে পাইনা। তাকেও ভাতা দেবার নাম করে ২০০ টাকা নিয়েছে ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল হারুন। টাকা ঠিকই দিয়েছে কিন্তু কার্ড আজো পাইনি ফরহাদ সরদার। এমন নিচু যদি হয় একজন ইউপি সদস্য তবে এলাকার উন্নয়ন আশা করা যায়না তার থেকে। ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল হারুনের দুর্নিতীর তথ্য যাচাইকালে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করায় অনেকেই পেয়েছে জীবন নাশের হুমকি। আর তাদের ভিতর একজন ৬নং ওয়ার্ডের শেখ মোক্তার আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ । জীবন নাশের হুমকি পেয়ে আব্দুল আহাদ গত ২রা জুলাই ফকিরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন । যার নং-৬৫। অসহায়দের সরকারীভাবে ঘর করে দেবার নামে ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা নিয়েছে অনেকের কাছ থেকে। তারাও বুকভরা আশা বেধে ছিল । কিন্তু আজো ঘর পাইনি,নিমিষেই ভেংগে গেল সরকারী নতুন ঘরে থাকার স্বপ্ন । শিশু কার্ডের জন্যেও দাবী করেছে ৩০০০ টাকা। আর জন্মসনদের জন্য দাবী করেছে ৮০০ টাকা। অন্ধ ফরহাদ সরদার বলছে যারা অন্ধের টাকা আতœসাৎ করেছে আল্লাহ তাদের যেন অন্ধ করে দেই। মানবতা আছে তবে মোস্তফা কামাল হারুনের মত ইউপি সদস্যদের কোন মানবতা নেই। জনপ্রতিনিধি হয়ে অর্থ বানিজ্য করে নিজে হচ্ছে সাবলম্বী , নেই এলাকার উন্নয়ন। এমন অসাধু ইউপি সদস্যদের যতি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রæত অপসারণ না করা হয় তবে অচিরেই সাধারণ অসহায় মানুষেরা পড়বে বিপাকে।
এব্যাপারে ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ বলেন,বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলাপ করেছি। খুব দ্রুতই সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest