ঝালকাঠিতে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ১৯ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯

ঝালকাঠিতে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ১৯ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ

মোঃ শফিউর রহমান কামাল বরিশাল ব্যুরোঃ ঝালকাঠিতে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ১৯ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক ইউপি সদস্য এমদাদের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই কিশোরীকে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষনের শিকার কিশোরী জানায়, গত ১৫ নভেম্বর সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামের বাড়ি থেকে পিপলিতা গ্রামে ফুপুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। এসময় নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য প্রতিবেশী এমদাদুল কিশোরীকে জোর করে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সংলগ্ন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষনের ঘটনা এমদাদুলের আত্মীয় বর্ষা নামে একটি মেয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। এমাদুল ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে একাধিকবার কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে এমাদুল ওই কিশোরীকে অপহরণ করে বাকেরগঞ্জের বোয়ালিয়া গ্রামে ফাতেমা নামের এক নারীর বাসায় প্রায় ১৯ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এমনকি ফাতেমা নামের ওই নারী অন্য পুরুষ এনে কিশোরীকে নির্যাতন করাতো। গত ৫ ডিসেম্বর কিশোরীটি সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে শহরের পূর্বচাঁদকাঠি এলাকায় আসে। সেখানের স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। একদিন থানায় থাকার পর শুক্রবার রাতে মেয়েটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এদিকে মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় বাবা ঝালকাঠি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এমদাদুল থলপহরী প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা না করার জন্য এমদাদুল ও তার পরিবারের লোকজন চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নির্যাতিতর পরিবার। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest