জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন/পালন’ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি,২০১২ সালে জারিকৃত পরিপত্র বাতিল

প্রকাশিত: ২:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন/পালন’ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি,২০১২ সালে জারিকৃত পরিপত্র বাতিল

জিয়াউর রহমান :

রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন/পালন’ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। একইসঙ্গে ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর জারিকৃত এ সংক্রান্ত পরিপত্র বাতিল করা হয়েছে।

সরকার নির্ধারিত দিবসগুলো কীভাবে পালন করতে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে ।

কোন কোন দিবসের কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আলোকে নিতে হবে তা নির্ধারণ করে দিয়ে আগের মতই সবগুলো দিবসকে তিনটি শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।

সরকার বলছে, তিন ধরনের দিবস ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো আরও কিছু দিবস পালন করে থাকে যেগুলো গতানুগতিক ধরনের।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘ক’ শ্রেণিতে থাকা ১৮টি দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন বা পালন করা হবে।

‘খ’ শ্রেণির ৩৪টি দিবসের মধ্যে যেসব দিবস ঐতিহ্যগতভাবে পালন করা হয়ে থাকে অথবা বর্তমান সময়ে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সামাজিক উদ্ধুদ্ধকরণের জন্য বিশেষ সহায়ক, যেসব দিবস উল্লেখযোগ্য কলেবরে পালন করা যেতে পারে।

“মন্ত্রীরা এসব অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত থাকবেন এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ পর্যায়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সরকারি উৎস থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা যেতে পারে।”

আর ‘গ’ শ্রেণিতে থাকা ৩৩টি দিবস নিয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিশেষ খাতের প্রতীকী দিবসগুলো সীমিত কলেবরে পালন করা হবে।

“মন্ত্রীরা এসব দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির বিষয় বিবেচনা করবেন। উন্নয়ন খাত থেকে এসব দিবস পালনের জন্য কোনো বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে না।”

“কোনো কোনো ক্ষেত্রে এগুলো পুনরাবৃত্তিমূলক এবং বর্তমান সময়ে তেমন কোনো গুরুত্ব বহন করে না। সরকারের সময় এবং সম্পদ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি সংস্থাগুলো এ ধরনের দিবস পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পরিহার করতে পারে।

শিক্ষা সপ্তাহ, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ, বিজ্ঞান সপ্তাহ, বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ (১-৭ অগাস্ট), বিশ্ব শিশু সপ্তাহ (২৯ সেপ্টেম্বর-৫ অক্টোবর), সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর), পুলিশ সপ্তাহ, বিজিবি সপ্তাহ, আনসার সপ্তাহ, মৎস পক্ষ, বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং জাতীয় ক্রীড়া সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত কর্মসূচি অনুযায়ী এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে।

জাতীয় পর্যায়ের উৎসব ছাড়াও সাধারণভাবে দিবস পালনের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়েছে, সাজসজ্জা ও বড় ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। “তবে বেতার ও টেলিভিশনে আলোচনা এবং সীমিত আকারে সেমিনার বা সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা যাবে। কর্মদিবসে সমাবেশ বা শোভাযাত্রা পরিহার করা হবে।”

কোনো সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানসূচি সাধারণভাবে তিন দিনের মধ্যে সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, “সরকারিভাবে গৃহীত কোনো কর্মসূচি যাতে অফিসের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত না ঘটায় তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছুটির দিনে অথবা অফিস সময়ের পরে আয়োজনের চেষ্টা করতে হবে।

“নগদ কিংবা উপকরণ আকারে অর্থ বা সম্পদ ব্যয়ের প্রয়োজন হবে এমন সাধারণ ইভেন্টগুলো ছুটির দিনে কিংবা কার্যদিবসে আয়োজন করা যাবে। যেমন- রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রচার, পতাকা উত্তোলন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ঘরোয়া আলোচনা সভা, বেতার ও টেলিভিশনে আলোচনা, প্রত্রিকায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ইত্যাদি।”

কোনো দিবস বা সপ্তাহ পালন উপলক্ষে রাজধানীর বাইরে থেকে বা জেলা পর্যায় থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢাকায় আনা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে বলে পরিপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest