একসঙ্গে চার ধরনের দুর্যোগ সামলাতে সক্ষম পদ্মা সেতু |

প্রকাশিত: ১১:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২০

একসঙ্গে চার ধরনের দুর্যোগ সামলাতে সক্ষম পদ্মা সেতু |

মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান |
আলোকিত সময় |

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্পসহ একসঙ্গে ভয়াবহ চার ধরনের ধাক্কা-দুর্যোগ সামলে নেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পদ্মা সেতু। ইতোমধ্যে সেতুর মূল কাঠামোর পুরোটাই দৃশ্যমান হয়েছে। আগামী ২০২২ সালের জুনে এটি উদ্বোধন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পদ্মা সেতু নির্মাণাকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সেতু বিভাগের সাবেক এই সচিব জানান, সমসমায়িক বিশ্বে কোনো নদীতে নিমির্ত সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতু। নির্মাণাধীন এ সেতুকে বলা হয় বাংলাদেশের ‘স্বপ্নের সেতু’। সেতুর ৪১টি স্প্যানের সবগুলো এখন বসিয়ে দেওয়ার পর এটি লম্বায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো পেয়েছে। কংক্রিট কাঠামোর খুঁটি ও ইস্পাতের স্প্যানের এই সেতু এতই শক্তিশালী যে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল।তিনি আরও বলেন, যদি কখনো রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।


আর ঠিক তখনই যদি পিলারের নিচে থেকে ৬৫ মিটার মাটি সরে যায়। একই সময় যদি পুরো সেতু রেল এবং যানবাহনে লোড থাকে। ওই সময় ৫ হাজার মেট্রিক টন ওজনের আরও একটি জাহাজ এসে সেতুর পিলারে ধাক্কা মারে তাহলেও পদ্মাসেতুর কিছুই হবে না।পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সবগুলো স্প্যান বসাতে তিন বছর দুই মাসের বেশি সময় লাগলেও ২০২০ সালেই ২১টি স্প্যান বসানো হয়। যদিও বন্যার কারণে এ বছরের দীর্ঘ চার মাস স্প্যান বসানোর কাজ করতে পারেনি ঠিকাদার কোম্পানি। এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণেও সেতুর কাজে কিছু ধীরগতি আসে।


পরে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। আর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বসানো হয়েছিল প্রথম স্প্যান। সেতুর মোট পিলার ৪২টি এবং এতে স্প্যান বসানো হয় ৪১টি। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest