দুর্নীতিগ্রস্ত নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করা উচিৎ : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০

দুর্নীতিগ্রস্ত নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করা উচিৎ :  মির্জা ফখরুল  ইসলাম আলমগীর

মোঃ মোতাহার হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী নাগরিকরা মনে করে নির্বাচন কমিশন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। নির্বাচন কমিশন অযোগ্য, ব্যর্থ। তাহলে তাদেরতো দায়িত্বে থাকা উচিৎ নয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিৎ। তাদের পদত্যাগ করতে দেরি হওয়াটা প্রমাণ করে তাদের আত্মসম্মানবোধ বলতে কিছুই নেই।
২৮ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পৌরসভার নির্বাচন প্রসেঙ্গ মির্জা ফখরুল বলেন, পৌরসভার নির্বাচনের ফলাফল এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে দুপুরের মধ্যে বেশ কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচনের খবর জানতে পেরেছি কেন্দ্রগুলো দখল হয়েছে। বিশেষ করে পাবনার চাটমোহর, শাহাজাতপুর, এধরনের কয়েকটা ।
তিনি বলেন, আজকে তো ২৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিছু খবর পেয়েছি যে কেন্দ্র দখল হয়েছে। এর চেয়ে বেশিকিছু আমরা জানিনা।
ইভিএম ভোটিং মেশিন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ইভিএম ভোটিং মেশিন দেশের জন্য উপযোগী ব্যবস্থা নয়। ইভিএম একেবারে স্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এর পেছনেও আমরা বলেছিলাম উদ্দেশ্যে কাজ করছে; সেই উদ্দেশ্যেটা হচ্ছে- পুরোপুরি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা করা। কারণ অন্যান্য যেসব দেশে ইভিএম চালু রয়েছে সেসব দেশে ভোট দেওয়ার পর রিসিভ কপি দেয়া হয়, কিন্তু আমাদের দেশে সেটি নেই।

তিনি বলেন, ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট সুষ্ঠ হলো কি হলো না, একথা জানার কোন সুযোগ নেই। অর্থাৎ একজন ভোটার যেখানে ভোট দিতে চায় সেখানে গেলো কিনা সেটা জানার কোন সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে আপনার ভোটের জালিয়াতি কারচুপি করার যথেষ্ট সুযোগ রয়ে গেছে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেয়া বক্তব্যে প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, খোরগোশ ও কচ্ছপের গল্প জানেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে সেই গল্পটা মনে করায় দিবেন। খোরগোশ ও কচ্ছপের গল্পটি উনি যদি একবার মনে করেন তাহলে কচ্ছপেই আল্টেমেটলি জেতে। সেই জয়টাই আমাদের হবে।

তিনি বলেন, জনগণ কি চায়, কি চায়না সেটা প্রমাণ হবে একটা অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন দেওয়া হয় এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তাহলে সেটাই প্রমাণিত হবে, তার আগে এমন আগাম কথাবার্তা বলে উনারা বললেন আর জনগণের চাওয়া না চাওয়া হয়ে গেল; জনগণের সাথে তো তাদের কোন সম্পর্ক নেই।
আমি আওয়ামী লীগকে বলব তারা বরং জনগণের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করুক এবং যে দলটায় পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ, কিন্তু তার জনগণের রাজনৈতিক দল যেটা হওয়া উচিৎ সেটা তারা নেই। তারা এখন জনগণকে বাদ দিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।

এসময় ঠাকুরগাঁও বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু প্রমুখ।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest