ঢাকা ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
সৈয়দ আতিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি / পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে সাজাঁনো অপহরণ ও গুমের মামলায় ফেঁসে গেছে বাদি আজগর আলী (৫০)। পূর্বশত্রুতায় নিজের ছেলে (ভিকটিম) মিজানুর রহমান (১৭)কে গোপণ রেখে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গতবছরের ২৯আগস্ট পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের ৬জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন আজগর আলী। সিআর মামলা নং ৮২/২০২০। মামলার সুদক্ষ তদন্ত কর্মকর্তা চৌকস পুলিশ অফিসার এসআই জাফর’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও গোপনীয় তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কয়েক দফা অভিযান শেষে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে পটুয়াখালীর জনৈক নিকটাত্মীয়ের বাসা থেকে কথিত অপহরণ ও গুমের ভিকটিম মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করতে সমর্থ হওয়ায় ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়।
দুমকি থানার পুলিশ হেফাজতে উদ্ধারকৃত ভিকটিম মিজানুর রহমান অপহৃত কিম্বা গুম হয়নি মর্মে স্বীকারোক্তি করে জানায়, তিনি (ভিকটিম) তার বাবার নির্দেশে নিজেই বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুমকি থানার এসআই জাফর বলেন, ভিকটিম উদ্ধারের মধ্যে দিয়ে প্রমানীত হলো বাদি আসামীদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে সাজানো গুমের মামলাটি করেছে। তিনি বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে ২১১দ:বি: আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মেহেদি হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, উদ্ধারকৃত ভিকটিমের ১৬৪ধারায় জবানবন্ধি রেকর্ড করতে আদালতে সোপর্দ্দ করা হবে। বাদির বিরুদ্ধেও আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST