ঢাকা ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০২১
যশোর অফিসঃ যশোরের বেনাপোলে নেশার টাকার জন্য শাশুড়ীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে হারুন অর রশীদ (৩০) নামে এক লম্পট জামাই।
ঘটনাটি ঘটেছে বেনাপোলে নারানপুর গ্রামে। শনিবার সকাল ১০ টার সময় বেনাপোলের নারানপুর গ্রামে শাশুড়ী মাছুরা খাতুনের কাছে নেশার টাকা দাবি করে জামাই ।
স্থানীয় বিল্লাল হোসেন বলেন, হারুন একজন নেশাগ্রস্থ মানুষ। সে তার শাশুড়ীর কাছে নেশার টাকা না পেয়ে শাশুড়ী সহ ওই পরিবারের সকলকে মারধর করে। নেশার টাকার জন্য প্রায় তার স্ত্রী স্বপ্নাকে মারধর করত। দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হয়েও স্বপ্না হারুনকে ভালো পথে ফেরানোর জন্য আপ্রান চেষ্টা করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত মারধর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে ১৯/০৩/২১ তারিখে স্বপ্না হারুনকে তালাক প্রদান করে।
হারুনের সাবেক স্ত্রী স্বপ্না বলেন, প্রায় ১৫ বছর তাদের বিয়ে হয়েছে। এর মধ্যে তাদের একটি ১১ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। হারুন ইয়াবা, ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করত। তাকে সু-পথে ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। সে শনিবার আমার পিতার বাড়ি এসে আমার মায়ের কাছে নেশার টাকা চায়। আমার মা বলে তোমার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।
মাছুরার ভাই আলাউদ্দিন বলেন, হারুন আমাকে হত্যা করার হুমকি দেয় । সে মাঝে মধ্যে আমাকে মারধর করে। তার অত্যাচারে আমরা গ্রামে বসবাস করতে পারছি না।
হারুন এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার শশুর বাড়ির পরিবারের সদস্যদের মারতে গিয়েছিলাম। এসময় তার শাশুড়ী ঠেকাতে আসলে তার মাথায় আঘাত লাগে।
নাভারণ বুরুজবাগান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাছুরা বেগম বলেন, আমাকে সে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমার মাথায় ডাক্তার ১৬ টি শেলাই দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই। থানায় গিয়েছিলাম রক্তাক্ত অবস্থায়। থানার দারোগা বলেছে আগে চিকিৎসা নেন, পরে মামলা নেওয়া হবে।
নাভারন হাসপাতালের ডাক্তার ইউসুফ আলী বলেন, মাছুরার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে । তবে সে শঙ্কা মুক্ত।
বেনাপোল পোর্ট থানার এএসআই মাছুম বলেন, আমরা ওই নারীর ছবি তুলে রেখেছি। তার রক্তাক্ত অবস্থা দেখে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হাসপাতাল থেকে আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST