যতদিন স্বাধীনতা থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদস্পন্দনে বেঁচে থাকবেন: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০২১

যতদিন স্বাধীনতা থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদস্পন্দনে বেঁচে থাকবেন: শিক্ষামন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ঘৃণ্য হত্যাকারীরা জয় বাংলার বদলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ প্রতিষ্ঠিত করেন। বাংলাদেশ বেতার হয়ে যায় রেডিও পাকিস্তানের আদলে রেডিও বাংলাদেশ। যেই দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন বঙ্গবন্ধু ১৫ আগস্টের পর তিনিই হয়ে যান নিষিদ্ধ। আমি বলতে চাই নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে ভুলিয়ে দেবার অনেক অপচেষ্টা চলেছে। কিন্তু যতদিন এই দেশ থাকবে এই স্বাধীনতা থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদস্পন্দনে বেঁচে থাকবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। রবিবার (২৯ আগস্ট) রাতে অনলাইনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমি মনে করি শিক্ষার প্রতিটি স্তরে মুজিব চর্চা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে থাকা উচিত। কারণ মুজিব জীবনী যেমন এক কথায় বলা যায় না এমনকি তা বিশ্লেষণ সম্ভব নয়। কাজেই আমরা যতবেশি মুজিব চর্চা করতে পারব ততটাই নিজেদের জাতীয়তাকে জানতে পারব। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশ এগিয়ে চলছে।

এ সময় অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের হৃদয়ের মাঝে স্বাধীনতার তীব্র আকাঙ্খা জাগ্রত করেছিলেন। বর্তমানে আমরা বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শকে লালন করার কথা বলি সেটি কাজে পরিনত করতে হবে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে মহান পিতা লোভ লালসার উর্ধ্বে শুধুমাত্র জাতি গঠনে আত্মত্যাগ করেছিলেন। আর বর্তমানে শত বাধা উপেক্ষা করে তার সেই স্বপ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

আলোচনায় কুবি ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির পিতা। তাকে কি শুধু আমরা মুখেই স্বীকৃতি দিচ্ছি নাকি অন্তরের সেটি ধারণ করছি। তিনি আমাদের রাষ্ট্র গঠনে এবং অর্থনৈতিক মুক্তির নায়ক হিসাবে চিরজীবন বেঁচে থাকবেন। সভাপতির বক্তব্যে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমি বলতে চাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমরা কতটা সচেতন। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ পাইনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীন দেশ পেয়েছি। কাজেই সকলের উচিত এই অর্থনৈতিক মুক্তি, সমৃদ্ধি অর্জন এবং শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবর নিজেদের পরিচিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা প্রয়োজন।

এছাড়াও সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো শামিমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডা. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল লতিফসহ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest