রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হলে মুনাফাখোরদের সুবিধা

প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হলে মুনাফাখোরদের সুবিধা

আজ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক।

তিনি বলেন, আল-জাজিরার প্রেতাত্মারা সরকারের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নগদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নগদের মালিকানার বিষয়ে মাননীয় ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, সচিব ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মালিকানার অংশীদারিত্ব নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার না করার বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন। এটি রাষ্ট্রের অংশীদারিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হলে মুনাফাখোরদের সুবিধা হয়। বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করা যায়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল এলপিজি’র পুনঃমূল্য নির্ধারণে গণশুনানীতে আমরা লক্ষ্য করেছি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি মূল্য বৃদ্ধির জন্য কিভাবে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানায়। তাই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা যাবে না। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি সচল হলে জনগণ সুবিধা পায় বেশী। একচেটিয়া বাজার দৌরাত্ম বন্ধ করতে রাষ্ট্রের অংশীদারিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানগুলির আরো সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। গত এক বছরে আমরা লক্ষ্য করেছি নগদের সার্ভিস চার্জ কমানোর ফলে গ্রাহকের প্রায় ১ হাজার ৭ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। তাই এ বিষয়টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানদের ভাল লাগছে না। আমরা নগদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম যে সকল একাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে তা দ্রুততার সাথে নিরীক্ষার মাধ্যমে খুলে দেয়া হোক। নগদের মালিকানা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তা মীমাংসিত ইস্যু।

সভাপতির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিজু বলেন, বর্তমান সরকার ২০১২ সালে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। করোনা মহামারীর মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা পালন করেছে এই সেবা। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত একটি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ সার্ভিস চার্জ নিয়ে মনোপলির ব্যবসা করে আসছে। এই মনোপলি ভাঙতেই জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে নগদের যাত্রা শুরু করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের অর্থ, ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, বয়স্ক ভাতা প্রদানসহ সরকারের সকল যাবতীয় সুবিধাদী প্রদান করা হয়। তাই এই প্রতিষ্ঠানের উপর মুনাফাখোরদের নজর এসেছে।

এম.এ জলিল বলেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান রেখে জানাতে চাই এ সকল অপপ্রচার বন্ধ করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে দ্রুত আরো কিভাবে কার্যকর করা যায় তার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব সি.এম মানিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দেলোয়ার হোসেন, উত্তরের সভাপতি মো. শাজাহান প্রমুখ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest