ঢাকা ১৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
গোলাম মোস্তফা খান,দাকোপ,খুলনা
সুদুর নলিয়ান,সুতারখালি,কালাবগী,বানিশান্তা,লাউডোব,কৈলাশগঞ্জ সহ দুরবর্তী স্কুল,মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের অতিকষ্টে ২০ থেকে ২৫ কিঃমিঃ পথ নদী ও সড়ক পথ পাড়ি দিয়ে দাকোপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ এসে দীর্ঘ সময় লম্বা লাইনে দাড়িয়ে করোনা টিকা নিতে হচ্ছে। দাকোপ সদর চালনা হাসপাতাল থেকে নলিয়ান,কালাবগীর দুরত্ব প্রায় ২৬ কিঃ মিঃ। সুতারখালীর শেষ সিমানা থেকে ২২কিঃমিঃ। বানিশান্তা ইউনিয়নের দুরত্ব ২৫ কিঃমিঃ।এমনিভাবে লাউডোব,কৈলাশগঞ্জ সহ ওপারের ৫ ইউনিয়ন এপারের ৪ ইউনিয়নের কামারখোলা,তিলডাংগার কামিনিবাসিয়া বিভিন্ন স্কুলের দুরত্ব অনেক বেশি। আর এ সকল স্কুল থেকে হাসপাতালে আসার প্রধান মাধ্যম নদি পথে ট্রলার। আর কিছু কিছু স্কুলের জন্য ভ্যানগাড়ি। বিশেষ করে কালাবগী,নলিয়ান,সুতারকালি,বানিশান্তা,লাউডোব থেকে আসতে ট্রলারের বিকল্প নেই বল্লে চলে। আজ শনিবার সুতারখালি ইউনিয়নের কালাবগি,নলিয়ান এলাকার শত শত ছাত্রছাত্রী ভোরে ট্রলারে উঠে টিকা দিতে রওনা হয়ে ৪/৫ ঘন্টা পর চালনা হাসপাতালে এসে পৌছায়। এসে লম্বা লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে টিকা নিয়ে বেলা দেড়টার সময় নদিতে রাখা ট্রলারে উঠতে দেখা যায়। অনেকে না খেয়ে তড়িঘড়ি করে ট্রলারে উঠছিল,কেউ পলিথিনে মুড়ি কিনে উঠতে দেখা যায় কারন বাড়ি ফিরতে এদের প্রায় ৫ টা বেজে যাবে। ট্রলারে উঠার সময় আলাপ হয় আসমা খাতুন( ১৪)আফসানা বেগম (১৫) রবিউল (১৩) আশিস কুমার (১৫)উত্তম রায় (১৬)এর সাথে ওরা বলে আমরা ভোরে ট্রলারে উঠে চালনায় এসে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে অনেক কষ্ট করে টিকা নিয়ে আবার দৌড়াতে দৌড়াতে ট্রলারে উঠে বাড়ি রওনা হচ্ছি,খাওয়ার কোন সময় নেই,ব্যাবস্থা নেই। আমাদের বাড়ি অনেক দুর হয়তো সন্ধা হয়ে যেতেও পারে। এমনি হালে দুরের স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের টিকা নিতে হচ্ছে। এ বিষয় দাকোপ হাসপাতালের ইনচার্জ ডাঃ মোজাম্মেল হোসেনের সাথে আলাপ হলে জানান আমরা স্কুল,মাদ্রাসা ভাগ ভাগ করে দিয়েছি,দুরবর্তী স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নদিপথে এসে টিকা দিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে হাসপাতালে তাদের তেমন কোন ভোগান্তি নেই। প্রায় ১২ হাজার ছাত্রছাত্রীদের টিকা দেওয়া প্রায় শেষ।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST