দাকোপে বোরধান ও তরমুজ দুটি ফসলেরই বাম্পার ফলন হতে চলেছে।

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২২

দাকোপে বোরধান ও তরমুজ দুটি ফসলেরই বাম্পার ফলন হতে চলেছে।

গোলাম মোস্তফা খান,দাকোপ,খুলনা

দাকোপে বেশ দ্রুতই তরমুজ চাষিরা তাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছে যাচ্ছে । দাকোপে কোটিপতি, শতবিঘা জমির মালিক হোক আর ভুমিহীন সকলেই কমবেশি তরমুজ ও বোরধান চাষের চাষি । বোরধানের এবার প্রথম দাকোপে বাম্পার ফলন হতে চলেছে, প্রথম দিকে ২ দফায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় তরমুজে মার খেতে পারে এমন আশংখায় কোন কোন চাষি বোরধান চাষে ঝুকে পড়ে। তবে ধানের তুলনায় তরমুজ চাষ হয়েছে শতগুনেরও বেশি জমিতে। বাজুয়া বেডের খাল এলাকায় জনৈক ধর্নাঢ্য ব্যাক্তি শতবিঘার বেশি জমিতে এবার তরমুজ চাষ করেছেন বলে চালনার তরমুজ চাষি
ও ছাত্রলীগনেতা আলামিন শেখ,তাতীলীগনেতা দেবানন্দ মন্ডল জানান। আর ২০/৩০/৪০/৫০ বিঘা করে জমিতে শত শত লোক তরমুজ চাষ করেছে। হরিনটানা এলাকার বাসিন্ধা উপজেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা,বিগত নির্বাচনে কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেবু সরকার এবার ৩৫ বিঘারও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করেছে,জেলা যুবলীগ নেতা সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আফজাল হোসেন খান গতবছর ৪০ বিঘা এবার ৩০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। তরমুজ চাষ করেছে দাকোপের অনেক বড় বড় মাপের জনপ্রতিনিধিরাও। জানা যায় প্রথম প্রথম জমি অনাবাদি পড়ে থাকতো, শুধুমাত্র বাজুয়া এলাকা ভিত্তিক তরমুজ চাষ হতো। লবন পানিতে চিংড়ি চাষের কারনে একমাত্র আমন ফসল সেটাও ফলন বলতে গেলে বন্ধ হয়ে পড়েছিল।কিন্ত বিগত কয়েক বছর বিঘায় লক্ষ টাকা লাভ হতে শুরু করায় দাকোপের ধনী,গরীব সকলেই সকল এলাকার জমিতে উচুনিচু ভেদে তরমুজ ও বোরধান চাষের আওতায় নিয়ে আসে। আর শত শত কোটি টাকার তরমুজের চাষের কারনে এলাকায় নারি পুরুষের কর্মসংস্থানের একটি ভাল ব্যাবস্থা হয়েছে। শত শত মহিলা শ্রমিকরা দিনরাত ৬০/৭০ টাকা ঘন্টা চুক্তিতে কাজ করছে এরপর ক্ষেত থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত তরমুজ বহনের কাজ চলবে দেড় মাস যাবৎ।সব মিলিয়ে টানা ৫ মাস যাবৎ এলাকার হাজার হাজার গরীব নারীপুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
মোটকথা দাকোপের সর্বস্তরের এক তরমুজ চাষে নানামুখি উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় গতবছর ৩৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষে হাজার কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়। আর এবার ৬৩০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। আর কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান জানান,তরমুজ চাষের সার্বিক সাজেশন হাতে কলমে দিতে অধিকাংশ দিন কৃষকদের সাথে মাঠেই থাকি। দুরে থাকলে অনলাইনে ও ভিডিও করে ছেড়ে কৃষকদের ভালভাবে জানতে বুঝতে দিনরাত তাদের পাশেই আছি।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest