খুলনা সোনাডাঙ্গার নিখোঁজ আশরাফুলের লাশ মিলল পদ্মা নদীতে

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২২

গোলাম মোস্তফা খান, খুলনা।

নিখোঁজের দুই দিন পর মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটের কাছে পদ্মা নদী থেকে এক ঈদযাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১ মে) সকালে লঞ্চঘাটের উল্টোপাশে পদ্মা নদীতে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়।
মৃতের নাম আশরাফুল আলম মিঠু (৫৩)। তিনি ঢাকার সবুজবাগের বাসিন্দা। তার স্থায়ী বাড়ি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকায়।
নিহত আশরাফুলের শ্যালক এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান, আশরাফুল আলম মিঠু খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার গোবরচাকা নবীনগর মোড় এলাকার বাসিন্দা। স্ত্রী দিলরুবা আলম নীনাসহ দুই ছেলে নবীনগর থাকেন। আশরাফু গত ২/৩বছর যাবৎ ঢাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক চুন্নু মিয়া বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মচারী আমাদের জানান, লঞ্চঘাটের উল্টোপাশে পদ্মা নদীতে বিআইডব্লিউটিসির নোঙর করা একটি জাহাজের কাছে একটি লাশ ভাসতে দেখা যাচ্ছে। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। তার পরনে টি-শার্ট, জিন্স প্যান্ট ও জুতা ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘লাশের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা জানতে পারি, তার ছেলে গতকাল মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানায় একটা নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। তার বাবা গত ২৯ এপ্রিল ফাল্গুনী পরিবহনের যাত্রী হয়ে ঈদে ঢাকা থেকে খুলনা যাচ্ছিলেন। তার পকেটে ওই পরিবহনের টিকিটও পাওয়া গেছে।’
যদিও মরদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, উদ্ধারের সময় মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে বলে জানান নৌপুলিশের এই কর্মকর্তা
উলে­খ্য, ঢাকায় গত ২/৩ বছর ধরে কাপড়ের ব্যবসা করেন খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শেখ আশরাফুল আলম মিঠু (৫১)। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্ত্রী সন্তানদের কাছে ফিরছিলেন তিনি। ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টায় ফাল্গুনী পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব-১৫৩৭৩ নম্বর গাড়ির এ-৩ সিটের যাত্রী ছিলেন তিনি। লঞ্চঘাটে এসে লঞ্চেও উঠেছেন তিনি। পাশের সিটের যাত্রীর কাছে নিজের ব্যাগ রেখে লঞ্চের পেছনে গিয়ে আর ফেরেননি। এরপর যথারিতি মাওয়া কাওড়াকান্দি ঘাটে লঞ্চ ভেড়ার পর শেখ আশরাফুল আলম মিঠু’র কোন সন্ধানই পাচ্ছিলো না পরিবার।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest