জয়পুরহাটে কিডনী বিক্রি করতে বাধ্য করা দালাল চক্রের আরো ২ জন সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২২

জয়পুরহাটে কিডনী বিক্রি করতে বাধ্য করা দালাল চক্রের আরো ২ জন সদস্য গ্রেফতার

আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাটের কালাইয়ে অভাবী ও ঋণগ্রস্থ মানুষদের মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কিডনী বিক্রি করতে বাধ্য করা দালাল চক্রের আরো ২ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভূঞা। কালাই উপজেলার কিডনি চক্রের ওই দালালদের ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয় ।

গ্রেফতারকৃত দালালরা হলেন- কালাই উপজেলার টাকাহুত গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেন সরকারের ছেলে আব্দুল গোফফার সরকার ও জয়পুর-বহুতি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে নূর আফতাব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন, সদর সার্কেল মোসফেকুর রহমান, পাঁচবিবি সার্কেল ইশতিয়াক আলম সহ পুলিশের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তা।

এ সময় পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভূঞা সাংবাদিকদের জানান, গেফতারকৃত দালালরা দীর্ঘদিন ধরে জয়পুরহাট জেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলা নওগাঁ, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর এলাকার নিরীহ, ঋণগ্রস্ত ও হত দরিদ্র নারী-পুরুষদের মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করে আসছিলেন।

এসব নিরীহ মানুষরা জীবনের ঝুকি নিয়ে দালালদের খপ্পরে পরে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা চুক্তিতে মূল্যবান কিডনি বিক্রি করে দেন। ভারত ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে তাদের কিডনি দিয়ে নামমাত্র চিকিৎসা নিয়ে যখন দেশে ফিরেন, তখন দালালরা বিমাবন্দর থেকে তাদের হাতে ১ থেকে ২ লাখ টাকা হাতে ধরে দিয়ে বিদায় করেন। কিডনি দাতারা নিজের অঙ্গ বিক্রি করে ঝুকি নিয়ে জীবন অতিবাহিত করলেও লাভবান হচ্ছেন এসব দালালরা। আবার নিজের কিডনি বিক্রি করে প্রতারিত হয়ে নতুন করে দালাল বনে যাচ্ছেন এসব কিডনি দাতারা।

তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই দালালদের গ্রেফতার করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে অবৈধ্যভাবে কিডনি বিক্রি শতভাগ বন্ধ করা না গেলেও অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদী।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest