যশোর অফিসঃ কৃষক পিতার ২২ বছরের টগবগে সন্তান কবির হোসেন। পরিবারের অভাব অনটন দূর করতে বাবার সম্পদ বিক্রি
আর ধারদেনা করে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাই। কিন্তু দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে হেরে গেলো এই অসহায় কৃষক পরিবার। দুবাই ফেরত অসুস্থ কবির এখন মৃত্যু পথযাত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেনের একমাত্র ছেলে কবির হোসেন। পরিবারের অভাব দূর করতে ২০২১ সালের মাঝামাঝি বাবার সবটুকু জমি বিক্রি করে ও বিভিন্ন মাধ্যমে ঋণ নিয়ে পাড়ি জমায় দুবাই। কিন্তু সেখানে কয়েকমাস যেতেই পেটে প্রচুর যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে সে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, অসুস্থতার কারণে গত ১ জুন দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয় কবির।এরপর প্রথম খুলনা সিটি মেডিকেলে চিকিংসাধীন অবস্থায় জানতে পারে তার একটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে আরো একটি দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে বিকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দৈন্যদশায় চিকিৎসার অভাবে দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সময় । এমনকি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে নিজেই চাইছেন আত্মহত্যা করতে।

এমতাবস্থায় পরিবারের আর্থিক দূরবস্থা সত্ত্বেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর শ্যামলী কিডনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসক জানিয়েছেন, কবিরের একটি কিডনি আগেই বিকল হয়ে গোছে এবং বাকীটাও প্রায় বিকল হওয়ার পথে। এদিকে এক বছর ধরে ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে এখন পরিবারটি নিঃস্ব।

কবিরের মা মিতু বেগম বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমার ছেলে বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। যন্ত্রণায় ছটফট করছে আর আমার কাছে বার বার আত্মহত্যা করার কথা বলছেন। ছেলের কষ্ট আমরা সহ্য করতে পারছি না।

তার বাবা কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ছেলের চিকিৎসার জন্য যা সম্বল ছিল সব বিক্রি করে দিয়েছি। মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। চিকিৎসার জন্য টাকার যোগাড় করা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না।চিকিৎসার অভাবে ছেলেটি দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এখন ডায়ালেসিস চলছে, ডাক্তার বলেছে কিডনি প্রতিস্থাপন করলে ছেলেকে বাঁচানো যাবে। তিনি সন্তানের চিকিৎসার জন্য প্রশাসনসহ সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা করেন। কবির হোসেনকে সহযোগিতা করতে পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার – ০১৭৩২৭৭৯০৩২ (কবিরের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন)।