ঢাকা ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২২
রাজশাহী প্রতিনিধি
একের পর এক নোটিশ দিয়ে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সড়ক ও জনপথের সরকারী ভরাট করা জায়গায় খুটি ও টিন দিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর খড়খড়ি মোড়ে খাল ভরাটকারী শ্রমিক দিয়ে এ ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন। যদিও মতিহার থানা পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দেন। সেই জায়গার উপর সওজের পক্ষ থেকে ভরাট করা জায়গাটুকু খালি করার নির্দেশ ও স্থাপনা নির্মাণে সওজের পক্ষ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে খাল ভরাটকারী ৬ জনের স্থানীয় ৬ জনের নামে নোটিশ পাঠায় সওজ। সেই ৬ জন হলেন, স্থানীয় রাবেয়া, তার স্বামী হারুন অর রশীদ, শামসুল, সোহেল ও আহসান আলী (নাইটগার্ড) সহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি।
পরে সওজের পক্ষ থেকে আরএমপির মতিহার থানায় জিডি করা হয়। কিন্ত সরকারী আদেশ অমান্য করে ও সরকারী নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভরাট করে সেখানে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এতকিছুর পরও ভরাটকারীরা কোনো নির্দেশনাকেই পাত্তা দিচ্ছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৩ আগষ্ট দুপুরে খাল ভরাটের বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও গতকাল বুধবার পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে সওজের ৭.০০ শতক (আনুমানিক) জায়গা গত ২৫ মে থেকে ভরাট করার অভিযোগ করা হয়। পরে আবার গত ২৫ জুলাই গভীর রাত থেকে ট্রাকে করে মাটি নিয়ে এসে ভরাটের কাজ করে তারা। এমন অভিযােগ ২য় বার সড়ক বিভাগ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী বাবর দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খাল ভরাটকারী উপরে উল্লেখিত খাল ভরাটকারীদের ৬ জনকে সরকারী খাল ভরাট বন্ধ ও সে পর্যন্ত তারা খালের যে অংশটুকু ভরাট করেছিল তা নিজ খরচে বালি ও মাটি উঠিয়ে খাল পুনরায় উন্মুক্ত করার জন্য ২ আগষ্ট লিখিত নোটিশ প্রদান করে। নোটিশটি সড়ক উপ-বিভাগ-২ রাজশাহীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সওজ) (চঃদাঃ) শাহ মো. আসিফ স্বাক্ষরিত। এরপরও তারা খালটি ভরাট করে।
আরো জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকালে তারা সেই জায়গায় ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ কল দেয়। কিন্ত সে সময় পুলিশ এসে তাদের থামায়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। তারপর স্থানীয়রা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সওজকে জানালে সওজ পুলিশকে খবর দেয়। এছাড়াও পরে বিষয়টি জানার পর অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিহার থানার এসআই পলাশকে জানালে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে স্থানীয় একজন বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরও তারা কিভাবে সরকারী জায়গায় ঘর তোলার সাহস পায়? এ নিয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
মতিহার এসআই পলাশ বলেন, ওই জায়গার উপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা আছে। ঘর তোলার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানার পরপরই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভরাটকারীদের মাটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টহল পুলিশের ব্যাপারে বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তারা না জানার কারণে তখন কাজ বন্ধ করেনি।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST