রাষ্ট্রীয় মর্যদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের।

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৪

রাষ্ট্রীয় মর্যদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের।

সাগর হোসাইন, বদলগাঁছী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের রাষ্ট্রীয় মর্যদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান পত্নীতলা উপজেলাধীন আমাইড় ইউপির চকভবানী গ্রামে সম্ভব্য ১৯২২ সালে জন্ম গ্রহন করেন। পিতাঃ কছিম উদ্দিন মন্ডল। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনিই সবার বড় ছেলে।

মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তিনি কর্মজীবন হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদান করেন। পূর্ব পাকিস্তানিদের শোষণ নিপীড়ন গণহত্যা যখন বেড়ে গিয়েছিল ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান স্বাধীনতার ডাক দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে সবাই যখন বাড়ি ফিরেন তখন তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন। তার কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছি ছিল না। হঠাৎ একদিন তিনি ঘোড়ার পিঠে চড়ে বীরের বেশে বন্দুকে ফাঁকা গুলি করতে করতে তার নিজ গ্রাম চকভবানীর বাড়িতে ফিরে আসেন। তার ফিরে আসাতে তার নিজ গ্রাম আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। এ যেন এক নতুন স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়া।

সেই বীরসৈনিক গত শুক্রবার চির নিদ্রা শায়িত হলেন নিজ গ্রাম চকভবানীতে।

পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান পত্নীতলা উপজেলাধীন আমাইড় ইউপির তার নিজ গ্রামে বসবাস করতেন। নিজ গ্রামে দীর্ঘ দিন যাবৎ অসুস্থ থাকার পর বার্ধক্যজনিত কারণে ৭ ই মার্চ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় মৃত্যু বরন করেন।

মৃতকালে এই বীরসৈনিকের বয়স হয়েছিল আনুমানিক ১০২ বছর। মৃতকালে তিনি দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান, জামাতা,নাতি নাতনি, ভাই,বোন,ভাতিজা ভাতিজি, সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।

সর্বশেষ, গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩ টায় রাষ্ট্রীয় মর্যদা (গার্ড অফ অনার) শেষে নামাজে জানাজার পর এই বীরসৈনিককে তার নিজ গ্রাম চকভবানীতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

(গার্ড অফ অনার) অনুষ্ঠানে অংশ নেন পত্নীতলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), পত্নীতলা থানার ওসি তদন্ত সেলিম রেজা, থানা পুলিশের সদস্য বৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ প্রিন্ট ও মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ এবং তার পরিবারের সদস্য বৃন্দ সহ প্রমুখ।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest