চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিয়ের অভিযোগ!

প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২৪

সাগর হোসাইন, বদলগাঁছী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে সম্পর্ক করে বিয়ে করার পর প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। প্রেম করে নুরায়ন আহমেদ নামের এক নারীকে বিয়ে করেছিল ফিরোজ হোসেন নামের ওই চেয়ারম্যান। অভিযোগ ৬ মাস সংসার করার পর প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে চেয়ারম্যান। তাই প্রতারণা করায় প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী ওই নারী। ফিরোজ হোসেন মিঠাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইটভাটাসহ একাধিক ব্যবসার সাথে জড়িত।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪নং মিঠাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন উপজেলার পাড়োঁরা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নুরায়ন আহমেদ এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই প্রেম ফিজিক্যাল সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এরপর ঢাকার পল্টনে একটি বেসরকারি ম্যারেজ মিডিয়ার মাধ্যমে চেয়ারম্যান ফিরোজ নুরায়ন আহমেদকে বিয়ে করেন। স্বামী স্ত্রী হিসেবে ৬ মাস খুব ভালো চলছিলো তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ পরিবর্তন দেখা দেয় চেয়ারম্যান ফিরোজের ব্যবহারে। বিষয়টি জানতে পেরে নুরায়ন তার স্বামী ফিরোজকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। প্রতারণা না করার জন্য অনেক অনুরোধ করেছেন, কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু তিনি শোনেননি তার কথা। এরপর বাধ্য হয়ে নুরায়ন আহমেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ব্যবহ্নত ফেইসবুক আইডি থেকে তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, চেয়ারম্যান ফিরোজ নুরায়নের মাকে এক মাস, দু’মাস করে সময় দিয়ে কালক্ষেপন করেন। এমনকি গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি পর্যন্ত সময় নেন চেয়ারম্যান। তারপরও কথা রাখেননি তিনি। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখে নুরায়নের মা ও চাচাকে ডাকেন চেয়ারম্যান ফিরোজ। সেখানেও কোনো সমাধান করেননি তিনি। বরং প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। এবং হুমকি দিয়েছেন। সেই জন্য নায্য বিচারের আশায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী নুরায়ন আহমেদ।

ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, একসময় চেয়ারম্যানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে কৌশলে বিয়েতে রাজি করান ফিরোজ হোসেন। ম্যারেজ মিডিয়ার মাধ্যমে বিয়ে করলেও সেটা তার কাছে ছিলো সাজানো বিয়ে। বিয়ের সব আয়োজন থাকলেও পুরোটাই ছিল নাটক। ফলে কথিত কাবিনের বিশ্বাসে ৬মাস সংসার করি। তাই প্রতারণা আশ্রয় নেওয়ায় আমি ন্যায় বিচার আশা করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন বলেন, অভিযোগের কোন সত্যতা নাই। সে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আপনাদের দুজনের ভিডিও কলে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন বলেন, আমি তাকে কোন দিন দেখিনি। সে স্ত্রীর মর্যাদা চাচ্ছে, তাকে বিয়ের কাবিন দেখাতে বলেন।

দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ আতিয়া খাতুন বলেন, আমি কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ হাতে পাইলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest