বদলগাছীতে মুচলেকা ও জরিমানার পরেও বন্ধ হচ্ছে না ফসলি জমির মাটি কাটা

প্রকাশিত: ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২৪

বদলগাছীতে মুচলেকা ও জরিমানার পরেও বন্ধ হচ্ছে না ফসলি জমির মাটি কাটা

সাগর হোসাইন, বদলগাঁছী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর বদলগাছীতে মোবাইল কোর্টে জরিমানা ও ভবিষ্যতে ফসলি জমির মাটি কাটা থেকে বিরত থাকবে বলে মুচলেকা দেওয়ার পরও বন্ধ হয়নি নওগাঁর বদলগাছীর কসবা এলাকার ফসলি জমির উপড়িভাগের (টপ সয়েল) মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা। এ বিষয়ে প্রশাসন কে জানানোর পরও ব‍্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকা বাসির অভিযোগ প্রশাসনকে ম‍্যনেজ করেই মাটি ব‍্যবসায়ীরা মাটি কাঁটে। তাই অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকা বাসি আরো বলেন, প্রায় ১০/১৫ বছর এই এলাকায় ফসলি জমির মাটি বিক্রিরের মহোৎসব চলছে। এর পরে আরও বারবার অভিযোগ করেও কনো প্রতিকার পাইনি আমরা। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালান প্রশাসন।

জানায়ায় এর আগে গত ৩০শে জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার বদলগাছীর মিঠাপুর ইউপির কসবা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তৎকালিন বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তৃপ্তি কণা মন্ডল। উক্ত মোবাইল কোর্টে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে। আর মুচলেকা করে যে ভবিষ্যতে কখনো
মাটি কাঁটবেনা বলে।

আঃ সালাম সহ কয়েকজন ব্যক্তি মুচলেকা প্রদান ও করেন। মুচলেকা প্রদান করার কয়েক দিন পরেই আবারো তিন ফসলি জমির মাটি কাঁটতে শুরু করে বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউপির কসবা গ্রামের আঃ সালাম।

মাটি কাটার বিষয়টি গত ৩রা মার্চ উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার আতিয়া খাতুনকে জানালে তিনি বলেন, আমার নায়েব যাচ্ছে মামলা দিবে। কিন্তু ঘটনাস্থলে মিঠাপুর তহসিল অফিসের নায়েব গিয়ে গাড়ি গুলো বন্ধ করে দিয়ে গাড়ির চাবী নিয়ে আসে।

এব‍্যপারে পরদিন ৪ঠা মার্চ উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার আতিয়া খাতুন এর সাথে আবারো কথা বললে তিনি বলেন, আমার নায়েব গাড়ির চাবী নিয়ে এসেছে । তারা আবার যদি মাটি কাঁটে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া হবে।

এরপর গত ১৩ ই মার্চ আবারো তিন ফসলি জমির মাটি কাঁটতে থাকে আঃ সালাম বিষয়টি উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার আতিয়া খাতুনকে জানানো হয়। কিন্তু রহস‍্যজনক ভাবে তিনি কোন ব‍্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে।

এলাকার স্থানীয়রা বলেন, আমরা এর আগে প্রতি বছরই এই কসবার মাটি কাটার ব‍্যপারে স্থানীয় (ভূমি) তহসিল অফিস এবং উপজেলা ভূমি অফিসে জানালেও আজ পর্যন্ত কোন দৃষ্টান্ত মূলক ব‍্যবস্থা নেয়নি। এবার ও নিবে না। কারন মাটি ব‍্যবসায়ীরা ভূমি অফিসের লোকজনকে ম‍্যানেজ করেই মাটি কাঁটে। আজ এসে নিষেধ করবে ৩থেকে ৪ দিন পর আবারো মাটি কাঁটতে শুরু করবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান বলেন,কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে গর্ত করার কারণে ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। মাটির উর্বর শক্তি কমে যাওয়ার কারণে এই জমিতে আর তেমন কোন ফলন হয় না। এক পর্যায়ে এই জমিগুলোতে ফসল কম হওয়ার কারণে চাষিদেরও আগ্রহ কমে যায়। এই ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ করতে না পারলে আগামীতে কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে।

প্রতি বারের মতো এবারও এ বিষয়ে দ্বায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার আতিয়া খাতুনের সাথে মোটো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন আবারো মাটি কাঁটছে। ঠিক আছে আমি দেখছি।


মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest