সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসির দূর্ভোগ বাড়ছে নীলফামারীতে নদীর ব্রীজ নির্মানে অতিরিক্ত ব্যায় ৭৭ লাখ

প্রকাশিত: ১০:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০

সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসির দূর্ভোগ বাড়ছে  নীলফামারীতে নদীর ব্রীজ নির্মানে অতিরিক্ত ব্যায় ৭৭ লাখ

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, রংপুর ব্যুরো ঃ নীফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় যমুনেশ্বরী নদীর উপর ব্রীজ নির্মানে কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শিতার ফলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যায় হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। সিডিউল জঠিলতার কারনে এ পরিমান টাকা আক্কেল সেলামী দিতে হয়েছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। জানাগেছে, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইসমাইল ওবাহাগিলী ইউনিয়নের সংযোগ স্থাপনের জন্য যমুনেশ্বরী নদীর উপর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৩ কোটি ১২লাখ ৭০হাজার ৫৪টাকা নির্মান ব্যায় ধরে টেন্ডার আহবান করা হলে কার্যাদেশ পায় গোপালগঞ্জ জেলার টিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার বিল্ডার্স। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন গত বছরের ১২ জুলাই। কিন্তু সিডিউল জঠিলতার কারনে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পরেই নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ওই ঠিকাদার বেসিন প্লান্ট মেশিন ব্যবহারে আগ্রহী না হওয়ায় তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী কেরামত আলী কার্যাদেশের চুক্তি বাতিল করেন। ফলে আরও ৭৭লাখ টাকা বরাদ্দের সাথে যোগ করে ২০১৮-১৯অর্থ বছরে পূনরায় টেন্ডার আহবান করা হয়। উক্ত বরাদ্দের পরিমান বেড়ে গিয়ে দাড়ায় ৩ কোটি ৮৮লাখ ২৮হাজার ৪শ ৮০টাকা। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নতুন করে কার্যাদেশ পাওয়া নীলফামারীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস এম শফিকুল আলম তিনিও আলসেমির ছোঁয়ায় গা ভাসিয়ে দিয়ে সময় ক্ষেপন করেছেন। ১৪ মাসে ৩টি স্পামের কাজ শেষ করা হলেও কাজের অগ্রগতি ৮০ভাগ। ব্রীজের সংযোগ সড়ক ও প্রটেকশন ওয়াল নির্মান করতে এখনও দুই মাস সময় লাগতে পারে বলে জানায় এলাকাবাসী। প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন, সুজন মিয়া ও মিনারুল ইসলামসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, নদীর বালু দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মান করা হচ্ছে। এটি সড়ক নয় যেন বালুর বাধ। এছাড়াও কর্তৃপক্ষের অদূর দর্শিতার কারণে সরকারের ৭৭লাখ টাকা বেশি ব্যায় হলেও সময় মত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মান কাজ শেষ না করায় আমাদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। ঠিকাদার শফিকুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ব্রীজের ৩টি স্পামের কাজ শেষ করে এখন বøক নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে লোকজন যাতায়াত করতে পারবে। উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বলেন,কাজের অগ্রগতি ৯০শতাংশ ১০শতাংশ কাজ অল্পদিনের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি দাবি করেন। অতিরিক্ত ৭৭ লাখ টাকা ব্যায়ের বিষয়ে তিনি বলেন আমার পূর্বের প্রকৌশলী এ সম্পর্কে ভালো জানেন।


alokito tv

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest