ঢাকা ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২০
আলোকিত সময় ডেস্ক::
১৫ জুন পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের বাহিনীর সং’ঘ’র্ষে এক কর্নেল-সহ ২০ ভারতীয় সেনা সদস্য নি’হ’ত হন। তারপর থেকেই উ’ত্ত’প্ত লাদাখ পরিস্থিতি। লাল ফৌজকে উপযুক্ত জবাব দিতে ফুসছে পুরো ভারত। মোতায়েন হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার অতিরিক্ত সেনা।
টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক, বসানো হয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নি’ক্ষে’পণযোগ্য ক্ষে’প’ণা’স্ত্র, এয়ার সার্ভেল্যান্স সিস্টেম। তবে বেইজিংও ছেড়ে কথা বলার পাত্র নয়, সীমান্ত থেকে একচুলও পিছু তো হটেইনি উল্টো সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে চীন-ভারত র’ক্ত’ক্ষয়ী সং’ঘা’ত আসন্ন বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।
ক্রমশ জ’টি’ল হচ্ছে লাদাখের পরিস্থিতি। শুক্রবার সকালে হঠাত করেই লাদাখে পৌঁছে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সীমান্তে এখন প্রতি মুহূর্তে চাপা টেনশন, কড়া নজরদারি। এই পরিস্থিতিতে সেনাদের মনোবল আরো চাঙ্গা করতে লাদাখ যান মোদি।
এদিকে মোদি আচমকা লাদাখ সফর নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে চীন। কমিউনিস্ট সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর এডিটর-ইন-চিফ হু শিজিন মোদির লাদাখ সফর নিয়ে টুইট করেছেন।
সেখানে মোদির সফরকে রাজনৈতিক চমক বা স্টান্ট বলে ব্যাখ্যা করেছেন। এরপরেই চরম হুঁ’শি’য়ারি। সেনাবাহিনীর হুঁ’শি’য়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ভুলেও যেন চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ধারে কাছে না আসে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
টুইটে তিনি লিখেছেন, আমি বুঝতে পারছি প্রধানমন্ত্রী মোদির সীমান্তে রাজনৈতিক চমক দেখিয়ে কড়া কড়া কথা বলা দরকার হয়ে পড়েছে। কিন্তু দয়া করে চুপি চুপি সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের বলে দিন, যে চীনকে তোমরা চেন, সে কিন্তু ভারতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিধর। পিএলএ-র সঙ্গে যেন তারা পাল্লা দিতে না যায় কেননা পিএলএ-র কাছে তারা কিছুই নয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার হঠাৎ লাদাখ পরিদর্শনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সীমান্তে দাঁড়িয়েই চীনকে কড়া বার্তা দেন। বলেন ‘গালওয়ান আমাদের’। লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে শুক্রবার ভোরেই লাদাখে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি।
সূত্র- কলকাতা ২৪।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST