ঢাকা ১২ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২১
কুলছুম আক্তার, খাগড়াছড়ি জেলার প্রতিনিধি
মৃত্যুর আগে চিরকুটে তিনি তার মাকে ছোটো ভাই লিমনের প্রতি খেয়াল রাখার কথা বলেছেন। নাইমুলের সফলতার জন্য তার বাবা যে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন; সে কথাও তিনি চিরকুটে লিখে গেছেন।
উক্ত বিষয়টি দুটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ মন্তব্যকারীরাই ছেলেটির এমন কান্ডে হতাশা প্রকাশ করে ভবিষ্যতে যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে বের হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।
১) লিমনের দিকে খেয়ালঃ
নাইমুলের উচিত ছিলো শত-শত প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও বেঁচে থেকে নিজের ছোটো ভাই লিমন সহ মা-বাবার খেয়াল রাখা। অথচ তিনি সেটা করেন নি। বরং লিমনের খেয়াল রাখার দায়িত্ব মাকে দিয়ে গেছেন। মা তো নাইমুলেরও খেয়াল রেখেছিলেন। খেয়াল রেখে কি মা নাইমুলকে আত্মহত্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন? ভাইয়ের প্রতি এমন মেকি আবেগ না দেখিয়ে বরং আত্মহত্যা না করে; আত্মহত্যার মতো ঘৃণ্য আবেগ কে পাশ কাটানো উচিত ছিলো। মা-বাবার বুক খালি করে, ছোটো ভাইটিকে একলা করে নাইমুল কি ভালো কাজ করেছে?
২) নাজমুলের সফলতার জন্য বাবার পরিশ্রমঃ
নাইমুলের সফলতার জন্য বাবা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এটা যেন পুরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বাবার এমন পরিশ্রমের ফলাফল স্বরুপ কি নাইমুল আত্মহত্যা করে লাশ দিয়ে গেলো?
যেকোনো বিরূপ পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার মতো জঘন্য কাজ করে আমরা চিরকুটে লিখে যাই,’আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়!’ এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের হতে হবে।
ইদানীং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা একটা পরিবারের জন্য ‘বিষফোঁড়া’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আসুন, আমরা পাশের বাসার হতাশাগ্রস্ত ভাই/বোনটির খোঁজ নেই। আত্মহত্যা করার পূর্বে তার হতাশাজনক পোস্টে হাহা রিয়্যাক্ট না দিয়ে তার স্বজনদের অবহিত করি। পুলিশকে খবর দেই।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST