ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১
আবুল হোসেন রাজু,
উপকূলীয় (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি\ খৃষ্টানদের
বড় দিনে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। শুক্রবার ও
শনিবারে বড় দিনকে কেন্দ্র করে দুই দিনের ছুটিতে বৃহস্পতিবার বিকেল
থেকেই কুয়াকাটায় প্রচুর সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে। আবাসিক
হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট গুলোতে তিল ধারনের ঠাই ছিল না। রুম সংকটে
অনেক পর্যটকরা ভোগান্তিতে পরেন। তবে কক্সবাজারের মত কুয়াকাটায়
অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা হয়রানীর শিকার হতে হয়নি কোন পর্যটককে।
আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল এবং ঝিনুক মার্কেটে কেনাকাটায়
ভীড় থাকলেও স্বাভাবিক দামে পর্যটকদের মাঝে স্বস্তি দেখা গেছে।
আগত পর্যটকরা সমুদ্রে গোসল, হই হুল্লোাড়, বীচে ফুটবল ও হাডু-ডু
খেলায় মেতে ছিল ভ্রমণ বিলাসী মানুষগুলো।
আগত পর্যটকরা কুয়াকাটার কুয়া, শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়া
সীমা বৌদ্ধ মন্দির, রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেট, শুটকি পল্লী,
ঝাউবাগান ও ইলিশ পার্কসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটে প্রচুর পর্যটকদের
ভীড় ছিল। কুয়াশায় সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখা গেলেও গোটা সমুদ্র সৈকত
জুড়েই পর্যটকদের অবাধ বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মত।
অনেকেই আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ
করছেন। তবে কক্সবাজারে ধর্ষনের ঘটনায় তেমন কোন প্রভাব পরেনি
কুয়াকাটায়।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট
রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, কুয়াকাটায় পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়েই
অসংখ্য পর্যটকরা ভ্রমণে আসেন। বিশেষ করে বিজয় দিবস ও বড় দিনে সমুদ্র
সৈকত এলাকা কানায় কানায় ভরে যায়। তিনি বলেন, ট্যুর অপারেটরস,
কুয়াকাটার পর্যটনমুখী ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় মানুষ পর্যটক সেবায়
খুবই আন্তরিক। এখানে পর্যটন পুলিশের পাশাপাশি বীচ ম্যানেজমেন্ট
কমিটির সদস্যরা পর্যটকদের সেবারমান নিশ্চিতে সচেষ্ট। কক্সবাজারের মত
এখানে কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটার কোন সূযোগ নেই।
অধিকাংশ হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবাসিক
হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার।
তবে আগত সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার কোন ঘাটতি ছিল না।
কোন ধরণের অপ্রতিকর খবর পাওয়া যায়নি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনেসপেক্টর মোঃ হাচনাইন পারভেজ জানান, শুক্রবার ও বড়
দিনের ছুটিতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরী
করা হয়েছে। দর্শনীয় স্পটগুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পর্যটন পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ এবং সাদা
পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষনিক নজরদারী করেছে।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ Developed By Agragami HOST