মোঃ জহিরুল ইসলাম সবুজ, আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি: ১লা এপ্রিল “এপ্রিল ফুল” এপ্রিলের বোকা। ১৪৯২ খ্রীষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল মুসলমানদেরকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানো সেই নিষ্ঠুর ইতিহাস স্মরনার্থে খ্রীষ্টানরা প্রতি বছর এপ্রিল ফুল (এপ্রিলের বোকা) পালন করে আসছে। এপ্রিল ফুলের ইতিহাস অন্যান্য জাতি জানলেও অনেক মুসলিম জাতি না জানার কারনে এই বিজাতীয় অপসাংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে। এপ্রিল ফুল দিবসটি সৃষ্টির সাথে রয়েছে মুসলমানদের করুন ও হৃদয়র্স্পশী এক ইতিহাস। তৎকালীন ইউরোপিয় দেশ স্পেনে মুসলিম সেনাপতি তারেক বিন যিয়াদ এর নেতৃত্বে ৭১১ খীষ্টব্দে ইসলামি পতাকা উত্তির্ন হয় এবং মুসলিম সভ্যতার গোরা পত্তন হয়। সুদীর্ঘ প্রায় আটশ বছর প্রর্যন্ত সেখানে মুসলমানদের গৌরবময় শাসন বহাল থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে আস্তে আস্তে মুসলীম স¤্রাজ্যে ঘুন ধরতে শুরু করে এবং মুসলিম শাসকরাও ভোগ বিলাসে গা ভাসিয়ে দিয়ে ইসলাম থেকে দুরে সরে যেতে থাকে। ফলে মুসলিম দেশ গুলোও ধীরে ধীরে মুসলমানদের হাত ছাড়া হয়ে খৃষ্টাদের দখলে যেতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসে স্পেনের পালা। মুসলিম শাসনে নেমে আসে পরাজয়ের কালো ছায়া। খ্রীষ্টান জগত গ্রাস করে নেয় স্পেনের বিজয় পতাকা। এক পর্যায়ে মুসলিম নিধনের লে খ্রষ্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিয়ে করে পর্তুগীজ রানী ইসাবেলাকে। যার ফলে মুসলিম বিরোধী দুই বৃহৎ খ্রীষ্টান শক্তি সাম্মলিত শক্তি রুপে আত্মপ্রকাশ করে। রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্যান্ড খুজতে থাকেন স্পেন দখলের মোম সুযোগ। পরবর্তীতে মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল গ্রানাডার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এক পর্যায়ে মুসলমানদের অসতর্কতার সুযোগে খ্রীষ্টান বাহিনী ঘিরে ফেলে গ্রানাডার তিন দিক এক মাত্র সমুদ্রই বাকী থাকে মুসলমানদের বাচার পথ। অবরুদ্ধ মুসলমানগন কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে এদিক সেদিক ছুটতে থাকে। মুসলমানদের এই অসহায় অবস্থায় রাজা ফার্ডিন্যান্ড প্রতারনার আশ্রায় নেয়। তিনি ঘোষনা করেন যারা অস্ত্র ত্যাগ করে মসজিদ গুলোতে আশ্রায় নেবে এবং সমুদ্র পাড়ে রতি নৌযান আরোহন করবে তাদেরকে সব রকমের নিরাপত্তা দেয়া হবে। এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে মুসলমানগন যেন আসার আলো খুজে পায়। সরল মনে বিশ্বাস করে মুসলমানগন মসজিদে ও নৌযান গুলোতে আশ্রায় গ্রহন করে। কিন্তু ইতিহাসের জঘন্য নরপিশাচ প্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড তালা লাগিয়ে দেয় মসজিদ গুলোতে এবং মাঝ দরিয়ায় ভাসিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে। এরপর বিশ্বমানবতাকে পদদলিত করে ঐ মানুষ নামের পশু ফার্ডিন্যান্ড আগুন লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোর চার পাশে এবং মধ্যসমুদ্রে ডুবিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে। ফলে অগ্নিদগ্ধ পানিতে হাবুডুবু খাওয়া ল ল নারী-পুরুষের আর নিষ্পাপ শিশুর আর্ত-চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে স্পেনের আকাশ বাতাশ। মুহুর্তের মধ্যে নির্মমভাবে নিঃশেষ হয়ে যায় সাত ল মুসলমানের তাজা প্রান। আর এরই মধ্যে ইতি ঘটে স্পেনের আটশ বছরের মুসলিম শাসনের, আর পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত হয় মানবতা লঙ্ঘনের নির্মম অধ্যায়। যে দিন এই মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছিল সেই দিন ছিল ১৪৯২ খ্রীষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল। ওই দিন মুসলমানদের দুর্দশা দেখে জালিম, নরপিচাশ, প্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড তার স্ত্রী ইসাবেলাকে জরিয়ে ধরে আনন্দ উল্লাস করে বলেন, “ড়য গঁংষরস! ঐড়ি ভড়ড়ষ ুড়ঁ ধৎব’’ হায় মুসলমান তোমরা কত বোকা। আর তখন থেকে মুসলমানদেরকে ধোকা দেওয়ার সেই নিষ্ঠুর ইতিহাস স্মরনার্থে খ্রীষ্টানরা প্রতি বছর এপ্রিল ফুল পালন করে আসছে। দুঃখের সাথে বলতে হয় “এপ্রিল ফুল” এর প্রকৃত ইতিহাস সর্ম্পাকে না জানার কারণে আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের দুর্ভাগ্যকে আনন্দের খোরাক বানিয়ে এপ্রিল ফুল পালন করছি। আমরা আর কতকাল আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকব? নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পার্কে অজ্ঞতার ধারা আর কত দিন আমাদের মধ্যে বিরাজ করবে। অথচ এই অজ্ঞতা আমাদের জন্য সবচেয়ে মরাত্মক কাল হয়ে দেখা দিয়েছে।