আত্রাইয়ে ইসরাফিল আলম এমপির প্রচেষ্ঠায় বান্দাইখাড়ায় পল্লীবিদ্যুৎ এর সাব-স্টেশন নির্মাণ

প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০

আত্রাইয়ে ইসরাফিল আলম এমপির প্রচেষ্ঠায় বান্দাইখাড়ায় পল্লীবিদ্যুৎ এর সাব-স্টেশন নির্মাণ
মোঃ ফিরোজ হোসাইন নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নে বান্দাইখাড়া গ্রামে পল্লীবিদ্যুৎ এর সাব-স্টেশন নির্মাণের কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে। জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদ মোঃ ইসলাফিল আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই পল্লীবিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সাব-স্টেশন নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করে আগামি মাসেই এটি চালু করা হবে। এতে এ ইউনিয়নে লো-ভোল্টজের আর কোন সমস্যা থাকবে না। বর্তমানে নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপনায় গ্রাহকদের কথা চিন্তা করেই ৫এমবিএ ক্ষমতা সম্পন্ন এই সাব-স্টেশন নির্মাণে শুরু হয়েছে। এ ছাড়া নতুন সাব স্টেশন নির্মাণ করার পর গ্রাহকদের বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন নওগাঁ পল্লী বিদ্যূৎ সমিতির কর্মকর্তারা। নওগাঁ-০৬ (আত্রাই রানীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম জানান, লো ভোল্টেজ ও লোড শেডিং দুর করতে আত্রাই উপজেলায় তিনটি সাব স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া। সেই লক্ষ্যে নতুন লাইন ও সাব- স্টেশন নির্মানের ফলে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। আত্রাই পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ ফিরোজ জামান জানান, আত্রাই সাব-স্টেশন থেকে বর্তমানে বান্দাইখাড়ায় প্রতিদিন গড়ে ৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। দূরত্বের কারণে লম্বা লাইন হওয়ায় এতে ভোল্টেজ কম হয় এবং আত্রাই সাব-স্টেশনে অনেক সময় বিদ্যুতের চাপ বেশি পড়লে বা কোন সমস্যা দেখা দিলে এ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। যে কারণে ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যই সাংসদ মোঃ ইসলাফিল আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই পল্লীবিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে তিনি জানান। হাটকালুপাড়ার ইউপি চেয়ারম্যান শুকুর সরদার বলেন, এই সাব-স্টেশনটি চালু হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকবে না, এবং এতে কম খরচে সেচ ব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে লাভবান হবে কৃষিখাত। এ এলাকার কৃষক ডিজেল চালিত পাম্প দিয়ে তারা কৃষিতে সেচ দিয়ে থাকেন। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প হলে ব্যয় সাশ্রয় হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম কাওছার হোসেন জানান, বর্তমানে এ ইউনিয়নে প্রায় ২২ হেক্টর আবাদি জমিতে বিভিন্ন রকম ফসল উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে এক ফসলী, দুই ফসলী, তিন ফসলী, বোরো ফসল রয়েছে। এসব ফসলী জমিতে ডিজেল চালিত পাওয়ার পাম্প দিয়ে সেচ কার্য চালানো হয়। এতে ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। কিন্তু সেচ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়া গেলে কৃষিখাতে ব্যয় অনেকটা কমে যাবে। বান্দাইখাড়া বাজারে ব্যবসায়ী সাহাদত নাস্টার এব্যাপারে জানান, সাব-স্টেশনটি চালু হলে আমাদের জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যা থাকবে না। বিদ্যুৎ লো- ভোল্টেজের কারণে প্রায়ই অনেকের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী যেমন- ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার, স্টাবিলাইজার, ফ্যান, ট্রান্সফরমারের ক্ষতি সাধিত হয়। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার ব্যঘাত হয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকে। এ সাব-স্টেশন চালু হলে এসকল ভোগান্তি থাকবে না, এটাই সবার প্রত্যাশা।

মুজিব বর্ষ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Pin It on Pinterest